আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র
ব্যাট হাতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব ছিল শ্রীধরন শ্রীরামের কাঁধে। যিনি এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আর দলের সঙ্গে যুক্ত নন। সেই শ্রীরামের আঙুল ভেঙেছিল ধোনির জন্য। সেই ঘটনা ফাঁস করলেন রবিন উথাপ্পা। যিনি এক সময় ধোনির চেন্নাই দলে খেলেছিলেন।
উথাপ্পা যে ঘটনার কথা বলেছেন সেটি ২০০৩ সালের। সেই সময় ভারত ‘এ’ দলে ছিলেন ধোনি। উথাপ্পা বলেন, “ধোনিকে আমি প্রথম বার দেখি বেঙ্গালুরুতে। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ও তখন ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলে। মুনাফ পটেলের বলে ব্যাট করছিল ধোনি। এ ছাড়াও আবিষ্কার সালভি ছিল পেসার। তাদের লম্বা লম্বা ছক্কা মারছিল ধোনি। হেলিকপ্টার শটও মেরেছিল। এক বার তো শ্রীধরনের আঙুল ভেঙে গিয়েছিল। ওর বলে ধোনি সোজা মেরেছিল। বলটা আটকাতে গিয়েছিল শ্রীধরন। ওর আঙুলে এসে লাগে বলটা। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়তে শুরু করে শ্রীধরন। আমরা প্রথমে ভেবে ছিলাম ও বলটা আটকাতে যাচ্ছে। কিন্তু বল পার করে দৌড়তে দৌড়তে সাজঘরে চলে যায় শ্রীধর। বুঝে গিয়েছিলাম ধোনি কতটা ভয়ঙ্কর। ভারতের হয়ে খেলবে সেটাও বোঝা গিয়েছিল ওই সময়ই।”
ধোনি এবং উথাপ্পা ভারতের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন। চেন্নাই সুপার কিংস দলেও খেলেছেন তাঁরা। সেই সময় ধোনির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় উথাপ্পার। তিনি বলেন, “২০০৪ সাল থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। যদিও সেই সময় খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। আমি ছিলাম অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার। ধোনি তখন খেলে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে। আমি প্রথম বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলাম আবু ধাবিতে। সেখানেই আমাদের বন্ধুত্ব হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে খেলতে গিয়েও ওর সঙ্গে ভাল সময় কাটে। দু’জনেই জামা কিনতে ভালবাসি। আমাদের সঙ্গে সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠান, আরপি সিংহ, পীযূষ চাওলা এবং মুনাফ পটেলও ছিল। আমরা ডালমাখানি, বাটার চিকেন, জিরা আলু আর রুটি খেতাম রোজ। ধোনি যদিও চিকেন খেত না। রুটি দিয়ে শুধু গ্রেভিটা খেত। কোনও দিন যদি চিকেন খেত তা হলে সে দিন আর রুটি খেত না। এখনও তাই করে ধোনি।”