উইলিয়ামসনদের কোচ গ্যারি স্টিড। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। সেই যন্ত্রণা মুছে যাওয়ার আগেই ভারতে পা রাখল নিউজ়িল্যান্ড। তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট খেলতে সোমবারই দুবাই থেকে বিশেষ বিমানে জয়পুরে এলেন কেন উইলিয়ামসনরা। যে সফর তাঁদের কাছে যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে বলে স্বীকার করছেন উইলিয়ামসনদের কোচ গ্যারি স্টিড।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে দুবাইয়ে স্টিড বলেন, ‘‘আমার মনে পড়ছে না, একটা প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরে এত দ্রুত আর একটা সফর কখনও শুরু হয়েছে বলে।’’ ১৪ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেই আবার ১৭ নভেম্বর রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামতে হবে উইলিয়ামসনদের। যে ম্যাচ হবে জয়পুরে।
নিউজ়িল্যান্ডের যে টেস্ট ক্রিকেটারেরা টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন না, তাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতে পৌঁছে গিয়েছেন। অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বাকিরা চলে এসেছেন এ বার। দুই দলকে ভাগে ভাগে অনুশীলনও করাতে হবে নিউজ়িল্যান্ড সাপোর্ট স্টাফকে। একটি ওয়েবসাইটে স্টিড বলেছেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজ়টা নিঃসন্দেহে কঠিন এবং বড় পরীক্ষার হতে চলেছে আমাদের জন্য। তবে সে সব ভাবলে হবে না। আমাদের এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের আট-দশ জন ক্রিকেটার ভারতে পৌঁছে গিয়েছে। আশা করব, ভারতের বিরুদ্ধে ভাল ক্রিকেট উপহার দিতে
পারব সবাইকে।’’
মরুশহরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রাতের দিকে শিশির বড় প্রভাব ফেলেছিল ম্যাচে। যে কারণে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতেছে দলগুলো। ভারত-নিউজ়িল্যান্ডের আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ়েও কি তাই হতে চলেছে? জয়পুরের ছবিটা একটু অন্য রকম। দেখা যাচ্ছে, সেখানে শিশির পড়ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা সন্ধ্যা সাতটা থেকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘এখানে সন্ধ্যা সাতটা থেকে শিশির পড়ছে। যার মানে হল, দুই ইনিংসেই শিশির পড়বে এবং টসের প্রভাব কমে যাবে ম্যাচে। দু’দলকেই শিশির সামলে খেলতে হবে।’’ শিশিরের প্রভাব কমানোর জন্য অবশ্য বিশেষ স্প্রে করা হবে মাঠে।
এই ম্যাচ দেখতে মাঠ ভরে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনিক সমস্যার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বন্ধ ছিল জয়পুরে। ২০১৩ সালের শেষ একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৩৫৯ রান ভারত মাত্র ৪৩.৩ ওভারে তুলে দেয়। সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত এবং বিরাট কোহালি। এ বার মাঠে দর্শক প্রবেশের উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তাই ২৫ হাজার দর্শকই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সিরিজ়ে নিউজ়িল্যান্ড অবশ্য পেয়ে যেতে পারে তাদের ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসনকে। পায়ে চোট পেয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন লকি। কিন্তু দুবাই এবং আবু ধাবিতে নেটে তাঁকে বল করতে দেখা গিয়েছে। এই পেসারকে নিয়ে কোচ স্টিড বলেছেন, ‘‘লকি খেলার মতো জায়গায় প্রায় চলে এসেছে। আশা করছি, দল বাছাইয়ের সময় ও পুরো সুস্থ হয়ে যাবে।’’
নিউজ়িল্যান্ডের আর একটা উদ্বেগের বিষয় হল অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের কনুইয়ের সমস্যা। বিশ্বকাপ থেকে যা ভোগাচ্ছে। তাই নজর থাকবে তাঁর উপরেও।