নিউ জ়িল্যান্ডের জয়ের অন্যতম নায়ক ট্রেন্ট বোল্ট। ছবি: আইসিসি।
প্রথম চার ম্যাচে টানা জয়। তার পরের চার ম্যাচে টানা হার। লিগ পর্বের শেষে এসে আবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয়। বৃহস্পতিবারের জয় নিউ জ়িল্যান্ডের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বেঙ্গালুরুর ২২ গজে এই জয় কিউয়িদের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলার আশা জিইয়ে রাখল। প্রথমে ব্যাট করে এ দিন শ্রীলঙ্কা করে ১৭১ রান। জবাবে ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭২ রান নিউ জ়িল্যান্ডের।
সেমিফাইনালের তিনটি দল চূড়ান্ত। লড়াই চলছে চতুর্থ স্থানের জন্য। দৌড়ে আছে নিউ জ়িল্যান্ড, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন কেন উইলিয়ামসনেরা। বাবর আজ়মদের কাজ অনেকটাই কঠিন করে দিলেন তাঁরা।
সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য এ দিন বেঙ্গালুরুতে জিততেই হত নিউ জ়িল্যান্ডকে। পাশাপাশি, নেট রান রেটের সুবিধা ধরে রাখার জন্য বড় ব্যবধানে জিততে হত উইলিয়ামসনদের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঠিক সেটাই করলেন তাঁরা। কুশল মেন্ডিসের দল সাধ্য মতো লড়াই করলেও নিউ জ়িল্যান্ডের পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারল না।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। অধিনায়ককে হতাশ করেননি ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিরা। ওপেনার কুশল পেরেরা ছাড়া শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যাটারই প্রতিপক্ষ শিবিরে লড়াই পৌঁছে দিতে পারলেন না। ২৮ বলে ৫১ রান করলেন পেরেরা। মারলেন ৯টি চার এবং ২টি ছয়। ২২ বলে অর্ধশতরান করে এ বারের বিশ্বকাপে নতুন নজিরও গড়লেন তিনি। ট্রেভিস হেডকে টপকে এ বারের প্রতিযোগিতার দ্রুততম অর্ধশতরানের মালিক হলেন পেরেরা। তিনি ছাড়া শ্রীলঙ্কার হয়ে বলার মতো রান মাহিশ থিকশানার অপরাজিত ৩৮। যদিও তিনি খেললেন ৯১টি বল। যা এখনকার টেস্ট ক্রিকেটেও বেমানান! বাকিরা আরও খারাপ। পাথুম নিশঙ্ক (২), মেন্ডিস (৬), সদিরা সমরবিক্রমা (১), চরিথ আশালঙ্কা (৮), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ (১৬), ধনঞ্জয় ডি সিলভা (১৯) বা চামিকা করুণারত্নে (৬) দলকে ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারলেন না।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নিউ জ়িল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের সামনে বেঙ্গালুরুর ২২ গজে কার্যত দিশেহারা দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২১ রানে ২ উইকেট রাচিন রবীন্দ্রর। ২২ রানে ২ উইকেট নিলেন মিচেল স্যান্টনার। ৩৫ রানে ২ উইকেট লকি ফার্গুসনের।
জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে নিউ জ়িল্যান্ড। প্রথম উইকেটের জুটি রাচিন এবং ডেভন কনওয়ে তোলেন ৮৬ রান। কনওয়ে করলেন ৪২ বলে ৪৫ রান। ৯টি চার মারলেন তিনি। রাচিনের ব্যাট থেকে এল ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস। ৩টি করে চার এবং ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। ডারিল মিচেলও করলেন ৩১ বলে ৪৩ রান। ৫টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন তিনি। তবু উইলিয়ামসনদের ইনিংসের শেষ দিকে তৈরি হল অস্থিরতা। উইলিয়ামসন (১৪), মার্ক চাপম্যানদের (৭) জন্য। শেষ পর্যন্ত গ্লেন ফিলিপস (১৭) এবং টম লাথাম (২) দলকে বহু কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন।
নিউ জ়িল্যান্ড ইনিংসে অস্থিরতা তৈরির নায়ক ম্যাথেউজ। তিনিই শ্রীলঙ্কার সফলতম বোলার। ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ৪৩ রানে ১ উইকেট নিলেন থিকসানা। ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট দুষ্মন্ত চামিরার।