অ্যালান ডোনাল্ড। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বকাপের পরেই অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ চলে এল প্রকাশ্যে। ঘটনার কেন্দ্রে শাকিব আল হাসানের টাইমড আউটের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের বোলিং কোচ রাখঢাক না করেই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্ত তিনি সমর্থন করেন না। তাঁর ওই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইল বিসিবি।
শাকিবের টাইমড আউটের সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন জোরে বোলার বলেছিলেন, “আমি হতাশ। বুঝতে পারছি শাকিব জেতার জন্য এটা করেছে। ও বলেছে, জেতার জন্য সব কিছু করতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি। শ্রীলঙ্কার সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের এক জন মাঠ থেকে বেরিয়ে আসছেন একটিও বল না খেলে। কারণ তাঁকে টাইম্ড আউট দেওয়া হয়েছে। এটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা দেখা কঠিন। অত্যন্ত হতাশারও।’’
ডোনাল্ডের এই বক্তব্য ভাল ভাবে নেননি বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তারা। তাঁরা শাকিবের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। বিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ডোনাল্ড অন্য সময় তাঁর ব্যক্তিগত মতামত জানাতে পারতেন। এখন উনি টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ। তাই দলের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। চাইলে তিনি দলের মধ্যে আলোচনা করতে পারতেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। বিসিবিকে মতামত জানতে পারতেন। কিন্তু এ ভাবে প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত মতামত জানাতে পারেন না।’’
ডোনাল্ডের কাছে ব্যাখ্যা তলব করলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার জায়গায় নেই বিসিবি। কারণ, এক দিনের বিশ্বকাপের পর শাকিবের দলের সঙ্গে আর কাজ করবেন না ডোনাল্ড। তিনি নতুন চুক্তি করতেও আগ্রহী নন। ফিরে যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের সময় ডোনাল্ড বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।