জয়ের হ্যাটট্রিক উইলিয়ামসনদের ছবি: টুইটার থেকে।
১৬ ওভারের পরে বদলে গেল ম্যাচের ছবিটা। ১৬ ওভারের আগে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল জয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে নামিবিয়ার কাছে। কিন্তু পরের চার ওভারে সব হিসেব উল্টে দিলেন গ্লেন ফিলিপ্স এবং জিমি নিশাম। তার পরে বল হাতে দুরন্ত পারফর্ম করলেন কিউয়ি বোলাররা। নিউজিল্যান্ড জেতায় চুপসে গেল কোহলীদের আশার ফানুস।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি নিউজিল্যান্ডের। রানের গতি কম থাকার সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসনরা বড় রান পাননি। ১৬ ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে উঠেছিল মাত্র ৯৬ রান। পরের চার ওভারে ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন ফিলিপ্স ও নিশাম। শেষ চার ওভারে উঠল ৬৭ রান। ফিলিপ্স ২১ বলে ৩৯ রান করেন। নিশাম করেন ২৩ বলে ৩৫ রান। ডেথ ওভারে নামিবিয়ার বল করার অনভিজ্ঞতার সুযোগই কাজে লাগালেন নিশামরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৬৩ করে নিউজিল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শারজার মন্থর উইকেটে খুব একটা দ্রুত শুরু করতে পারেনি নামিবিয়া। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন আউট হওয়ার পরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকল। নিয়ন্ত্রিত বল করলেন দুই কিউয়ি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি। বেশি ডট বল খেলায় জরুরি রানরেট বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১১ রানে শেষ হয় নামিবিয়ার ইনিংস। ৫২ রানে ম্যাচ জেতে নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তানের কাছে হারের পরে জয়ের হ্যাটট্রিক করল নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে পয়েন্ট তালিকায় দু’নম্বরে উঠে এলেন উইলিয়ামসনরা। অন্য দিকে চাপ বাড়ল কোহলীদের উপর। নিজেদের দু’ম্যাচ জিতলেও তাঁদের তাকিয়ে থাকতে হবে রবিবার নিউজিল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে জিতলেই শেষ চারে চলে যাবে নিউজিল্যান্ড। অন্য দিকে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যাবে কোহলীদের।