বিরাট কোহলি এবং নবীন উল হক। ছবি: পিটিআই।
আইপিএলের শত্রুতা মুছে দিল বিশ্বকাপ। আইপিএলে নিজেদের দলের হয়ে খেলার সময় ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি এবং নবীন উল হক। বিশ্বকাপে দেশের জার্সিতে সেই শত্রুতাই পরিণত হল বন্ধুত্বে। ম্যাচের দিন একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে এবং হাত মেলাতে দেখা গিয়েছে। নবীনের পিঠ চাপড়ে দেন কোহলি। ম্যাচের পর কোহলির উচ্চকিত প্রশংসা করলেন সেই নবীন।
কোহলির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করাতে নবীন বলেছেন, “ও দারুণ ছেলে। খুব ভাল ক্রিকেটার। ম্যাচের পর আমরা হাত মিলিয়েছি। মাঠের ভেতরে অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে। কিন্তু মাঠের বাইরে আমাদের মধ্যে কোনও বিরোধিতা নেই। লোকজন এটাকে বড় করে দেখায়। নিজেদের ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করে। কোহলি আমাকে বলল পুরনো সব জিনিস ভুলে যেতে। আমিও বললাম, সব ভুলে গিয়েছি। তার পরে হাত মিলিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরি আমরা।”
আইপিএলে সেই ম্যাচের পরে কোহলি এবং নবীনের জরিমানা হয়। শুধু তাই নয়, সমাজমাধ্যমে ব্যাপক কটাক্ষের শিকার হন আফগানিস্তানের পেসার। এমনকি বুধবারের ম্যাচেও নবীন ব্যাট বা বল করার সময় কোহলির নাম ধরে চিৎকার করেছেন সমর্থকেরা। তবে দুই ক্রিকেটারের আচরণ বোঝাল, পাঁচ মাস আগের আইপিএল অধ্যায় এখন অতীত।
যদি সেই সময়ের ঘটনা কেউই ভুলে যাননি। নাম না করে হলেও কোহলি এবং নবীন একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। লখনউ ম্যাচ জেতার পর কোহলি আরসিবি-র পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় বলেছিলেন, “মিষ্টি জয়। যদি আপনি কিছু দেন তা হলে সেটা ফেরতও পাবেন। না হলে দেবেন না।” অর্থাৎ কোহলি বোঝান, খারাপ ব্যবহার করলে সেটাই ফেরত পেতে হবে। পাল্টা নবীন লেখেন, “আপনি যেটার যোগ্য সেটাই পান। এমনই ছিল বরাবর এবং সেটা ভবিষ্যতেও হবে।”
পরে এক সাক্ষাৎকারে নবীন বলেছিলেন, “কোহলির উচিত হয়নি ম্যাচের পর ও সব কথা বলা। ওই সব শুরু করেছে। আমি করিনি। ম্যাচের পর কোহলিই লড়াই শুরু করে। জরিমানার টাকার অঙ্ক খেয়াল করলেই বুঝবেন কে ঝামেলা শুরু করেছিল। আমি কোনও দিন কাউকে স্লেজ করি না। করলেও নিজে বল করার সময় করি। ম্যাচের মধ্যে কারও উদ্দেশে কিছু বলি না। তবে আমার উদ্দেশে কেউ কিছু বললে ছেড়ে কথা বলি না।”