মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলের হয়ে আট বছর খেলার পর একটি চাকরি পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০১২ সালে সেই প্রস্তাবে সম্মতিও জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক। ধোনির চাকরির নিয়োগপত্রটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। আইপিএলের স্রষ্টা ললিত মোদী নিয়োগপত্রটি ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
চেন্নাইয়ের ইন্ডিয়া সিমেন্ট সংস্থা ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কেটিং’ হিসাবে নিয়োগপত্র দিয়েছিল ধোনিকে। তাঁর মাসিক বেতন ছিল ৪৩ হাজার টাকা। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের মাসিক বেতনের অঙ্ক বিস্মিত করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কারণ, ইন্ডিয়া সিমেন্টের ওই নিয়োগপত্র ধোনি পেয়েছিলেন ২০১২ সালের ৭ জুলাই। তত দিনে ধোনির নেতৃত্বে দু’টি বিশ্বকাপ জেতা হয়ে গিয়েছিল ভারতের। তবু ধোনি কেন ইন্ডিয়া সিমেন্টের ওই নিয়োগপত্রে সম্মতি জানিয়েছিলেন, তা নিয়েও বিস্ময় রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ভারতীয় দলে খেলার সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির সর্বোচ্চ স্তরে থাকতেন ধোনি। বিজ্ঞাপন থেকেও বিপুল আয় করতেন। দেশের অন্যতম বিত্তবান ক্রিকেটার তিনি।
প্রথম থেকেই চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলেন ধোনি। সিএসকের মালিকানা রয়েছে ইন্ডিয়া সিমেন্টের হাতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন আবার ইন্ডিয়া সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাই মনে করা হচ্ছে, ধোনিকে ওই নিয়োগপত্র দেওয়ার নেপথ্যে শ্রীনিবাসনের ভূমিকা রয়েছে। প্রাক্তন বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ধোনির ব্যক্তিগত সম্পর্কও যথেষ্ট ভাল। তবে সংস্থার ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ হিসাবে ধোনিকে ৪৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের।
২০১৯ সালে শেষ ভারতের হয়ে খেলেন ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে ২০২০ সালে। এখনও আইপিএল খেলছেন তিনি। ধোনির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০৪০ কোটি টাকা। বিরাট কোহলির (১০৫০ কোটি টাকা) ঠিক পরেই।