আবদুল্লাহ শাফিক। —ফাইল চিত্র।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সাউদ শাকিল দ্বিশতরান করেছিলেন। এ বার দ্বিতীয় ম্যাচে ২০০ রান পার করলেন ওপেনার আবদুল্লাহ শাফিক। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিলেন তিনি। পাকিস্তানের দুই ব্যাটার দ্বিশতরান করতে পারলেও এর মাঝে ইংল্যান্ডের জ্যাক ক্রলি এবং ভারতের যশস্বী জয়সওয়াল দ্বিশতরানের কাছে পৌঁছেও এই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা তোলে ১৬৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ৪০০ রান পার হয়ে গিয়েছে। এর আগে আবদুল্লাহর সর্বাধিক ছিল ১৬০ রান। ১৪তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন তিনি। এর আগে তিনটি শতরান ছিল তাঁর। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই গলের মাঠে শতরান করেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও শতরান রয়েছে তাঁর। চারটি অর্ধশতরানও আছে আবদুল্লাহের। ২০২১ সালে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
পাকিস্তানের সিয়ালকোটে জন্ম আবদুল্লাহের। সাদা বলের ক্রিকেটেও অভিষেক হয়েছে তাঁর। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং ছ’টি টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন আবদুল্লাহ। সাদা বলের ক্রিকেটে যদিও সে ভাবে সাফল্য পাননি তিনি।
এ বারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ক্রলি এবং যশস্বী দ্বিশতরানের কাছাকাছি এসেও সেই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ক্রলি ১৮২ বলে ১৮৯ রান করেছিলেন। যশস্বী তাঁর অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১৭১ রান করেছিলেন। তাঁদের দু’জনের কাছেই সুযোগ ছিল দ্বিশতরান করার, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তানের হয়ে দ্বিশতরান করার তালিকায় আবদুল্লাহ ২৪তম। তিনি সে দেশের সপ্তম ওপেনার, যিনি দ্বিশতরান করলেন। পাকিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি দ্বিশতরান রয়েছে ইউনিস খান এবং জাভেদ মিয়াঁদাদের। ছ’টি করে দ্বিশতরান রয়েছে তাঁদের।