মহম্মদ শামি। — ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নেমে প্রথম দিন ১০ ওভার বল করলেও উইকেট পাননি তিনি। তবে আস্থা হারাননি কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বলেছিলেন, দ্বিতীয় দিনই উইকেট পাবেন মহম্মদ শামি। সেটাই হল। একটি-দু’টি নয়, চারটি উইকেট পেলেন শামি। হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে। জোরে বোলারের বোলিংয়ে ধসে গেল মধ্যপ্রদেশ। ১৬৭ রানে শেষ হল তাদের ইনিংস। বাংলা লিড নিল ৬১ রানে।
বুধবারের ১০ ওভারের পর এ দিনও প্রথম দুই ওভারে কোনও উইকেট পাননি শামি। এর পর মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক শুভম শর্মাকে আউট করেন। উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন শুভম। এর পর বোল্ড করে দেন সারাংশ জৈনকে। পরের দিকে দুই টেলএন্ডার কুমার কার্তিকেয় এবং কুলবন্ত খেজরোলিয়াকে পর পর দু’বলে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের প্রথম বলে উইকেট নিলেই হ্যাটট্রিক করে ফেলবেন। ১৯ ওভার শেষে শামি ৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে শামির যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে তাঁকে পুরোদমে বল করতে দেখা গিয়েছে। কোনও রকম অস্বস্তি লক্ষ করা যায়নি।
ফিটনেসের সমস্যার জন্য শামির মাঠে ফেরা একাধিক বার পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বুধবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা বোলার। ২০২৩ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর লাল বলের ক্রিকেট খেলেননি শামি। ১৭ মাস পর আবার লাল বলের ক্রিকেট খেলতে নেমেছেন। প্রথম বার ভাই মহম্মদ কাইফের সঙ্গে জুটি বেঁধে নতুন বলে আক্রমণও শুরু করেন।
বুধবার অবশ্য শামিকে সম্পূর্ণ চেনা ফর্মে দেখা যায়নি। ১০ ওভারে ৩৪ রান দেন। উইকেট পাননি। বুধবার তিনি বল করেছিলেন ম্যাচের শেষ সেশনে। বৃহস্পতিবার প্রথম সেশন থেকেই তাঁকে ব্যবহার করেন বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলা শিবির যে শামিকে দেখে খুশি তা বোঝা গিয়েছিল আগের দিনই। লক্ষ্মীরতন আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘শামি এক বছর পর মাঠে ফিরেই দারুণ কিছু করবে, সেটা আশা করা ঠিক না। তবে ভাল বল করেছে। বোঝা গিয়েছে, ফর্মে রয়েছে। শামি উইকেট পায়নি। তবে পেতে পারত। কয়েকটা বলে মধ্যপ্রদেশের ব্যাটারদের বিট করেছে। আশা করছি, বাংলার হয়ে আরও ম্যাচ খেলবে এবং দ্রুত ভারতীয় দলেও ফিরবে।’’ হয়তো লক্ষ্মীর কথাই সত্যি হতে চলেছে।