পোকার উৎপাত থেকে বাঁচতে মুখ ঢেকেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। বুধবার সেঞ্চুরিয়নে। ছবি: পিটিআই।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে ১৮ মিনিট বন্ধ রাখতে হয়েছিল ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। মাঠে ‘ফ্লাইং অ্যান্ট’ জাতীয় পোকার উৎপাত হওয়ায় ম্যাচ চালানো সম্ভব হয়নি। ক্রিকেটারকে নাকে-মুখে ঢুকে যাচ্ছিল সেই পোকা। তবে এটাই প্রথম নয়। অতীতে বার বার বিচিত্র কারণে ক্রিকেট ম্যাচ সাময়িক বা পুরোপুরি বন্ধ রাখার নজির রয়েছে।
মৌমাছি
২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি ঢুকে পড়েছিল। ম্যাচের ৪৮তম ওভারে তখন ১৯৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। মৌমাছি মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটারেরা মাটিতে শুয়ে পড়েন। কিছু ক্ষণ বাদে সেই মৌমাছির ঝাঁক অবশ্য চলে যায়।
সাপ
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ২০২২ সালে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ হচ্ছিল গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে। হঠাৎই মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল একটি সাপ। মাঠের ধারে থাকা একটি ছোট গর্ত থেকে সেটি বেরিয়ে আসে। প্রোটিয়া ক্রিকেটার ওয়েন পার্নেল সবার আগে সেটি দেখতে পেয়ে বাকিদের সতর্ক করে দেন। এর আগে, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচেও মাঠে সাপ ঢুকে পড়েছিল।
ফ্লাইং অ্যান্ট
সেঞ্চুরিয়নে এই পোকার উৎপাত নতুন নয়। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ চলাকালীন এই পোকা ঢুকে পড়েছিল। ১২ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা।
শুয়োর
এই ঘটনা অনেক আগের। ১৯৮২ সালে সিডনিতে অ্যাশেজ় টেস্ট চলাকালীন মাঠে ঢুকে পড়ে একটি শুয়োর। তার পিঠের এক দিকে ‘বথাম’ এবং অপর দিকে ‘এডি’ লেখা ছিল। তাতেই বোঝা যায় সেটি ইচ্ছাকৃত ভাবে ঢোকানো হয়েছিল। কারণ, কটাক্ষ করা হয়েছিল দুই ইংরেজ ক্রিকেটার ইয়ান বথাম এবং এডি হেমিংসকে।