শুক্রবার অনুশীলনে মনোজ। ছবি: সিএবি
মন্ত্রীর গাড়ি ঢুকল বাংলার অনুশীলনে। নেমে এলেন মন্ত্রীমশাই। বাংলার যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। অনুশীলন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই এসে গিয়েছেন তিনি। লক্ষ্য যে একটাই, রঞ্জি জিততে হবে।
সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অনুশীলন করতে এসে দেখা হয়ে গেল পুরনো সতীর্থ লক্ষ্মীরতন শুক্লর সঙ্গে। মজা করে মনোজ বললেন, “ও রাজনীতি ছেড়ে ক্রিকেট মাঠে ফিরে এল, আমি রাজনীতিতে ঢুকে গেলাম।” তবে খেলা ছাড়েননি মনোজ। নিয়মিত অনুশীলন করেছেন ইডেনে। শুক্রবার শ্রীবৎস গোস্বামী, অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সঙ্গে গা ঘামিয়ে নিলেন শুরুতে। সেটা শেষ হতেই ছটফট করতে লাগলেন ব্যাট করার জন্য। অভিমন্যুকে সঙ্গে নিয়ে নেটে ঢুকে পড়লেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ।
কোচ অরুণ লালের তত্ত্বাবধানে চলল অনুশীলন। প্রথমে পেসারদের বিরুদ্ধে, তার পর স্পিনারদের বিরুদ্ধে টানা অনুশীলন করলেন মনোজ। হাঁটুর চোট কেমন আছে তাঁর? বাংলার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বললেন, “আমি পুরো ফিট। হাঁটুতে এখন কোনও সমস্যা নেই।” বাংলার হয়ে ফের রঞ্জিতে নামার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী মনোজ? তিনি বললেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী। অনেকে অনেক কথাই বলে আমাকে নিয়ে, কিন্তু আমি সে সব শুনি না। আমার পারফরম্যান্স কথা বলবে।”
বাংলা দলের সঙ্গে অনুশীলনে মনোজ। ছবি: সিএবি
এক দিকে ক্রিকেট, অন্য দিকে রাজনীতি, সম্পূর্ণ আলাদা দু’টি দিক সামাল দিতে হয় মনোজকে। তিনি বললেন, “ক্রিকেট শুরু হয়ে গেলে আমি অন্য কোনও দিকে নজর দিই না।” গাড়ির জানলায় যে কোট ঝুলতে দেখলাম। মুচকি হেসে মনোজ বললেন, “তৈরি থাকতে হয়, কখন কোথায় ডাক চলে আসে।”
অনুশীলন শেষে মাঠেই দুপুরের খাওয়া সেরে নিলেন মন্ত্রীমশাই। ভাত, ডাল, তরকারি এবং মুরগির মাংস দিয়ে সেরে নিলেন মধ্যাহ্নভোজ। সেই সময় তাঁর দেহরক্ষী (যাঁরা এত ক্ষণ অনুশীলন নেটের পিছনে বসে নজর রাখছিলেন বাংলার মন্ত্রীর দিকে। সাংবাদিককে নেটের কাছে দেখে জিজ্ঞেস করে নিলেন পরিচয়ও।) এগিয়ে এলেন জলের বোতল খুলে দেওয়ার জন্য। মনোজ বলে উঠলেন, “আমি খুলে নেব।”
মাঠে তিনি মন্ত্রী নন, সকলের প্রিয় ‘মানি’ (এই নামেই তাঁকে ডাকেন সতীর্থরা)। বাংলাকে রঞ্জি জেতানোই তাঁর লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই ফের মাঠে মনোজ তিওয়ারি।