(বাঁ দিকে) ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের প্রথম দু’টি ম্যাচে দলের নির্ভরযোগ্য উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে পাবে না গুজরাত টাইটান্স। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট শেফিল্ডে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ঋদ্ধিমান সাহার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেল শুভমন গিলের দলে।
দল ছেড়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। চোটের জন্য আইপিএল খেলতে পারবেন না মহম্মদ শামি। জোড়া ধাক্কার পর আরও একটি ধাক্কা গুজরাত শিবিরে। প্রতিযোগিতার অন্তত প্রথম দু’টি ম্যাচে শুভমনেরা পাবেন না ম্যাথু ওয়েডকে। তিনি তাসমানিয়ার হয়ে শেফিল্ড শিল্ড ফাইনাল খেলবেন। ২১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ ওয়েড ব্যস্ত থাকবেন। তার পর যোগ দেবেন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির শিবিরে।
আসন্ন আইপিএলে গুজরাতের প্রথম ম্যাচ ২৪ মার্চ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৬ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। প্রতিযোগিতার সফলতম দু’দলের বিরুদ্ধেই ওয়েডকে পাবেন না শুভমনেরা। ২০২২ সালে ১০টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও ২০২৩ সালের গুজরাতের হয়ে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। সেই নিরিখে প্রথম দু’ম্যাচে ওয়েডের অনুপস্থিতি গুজরাতের জন্য তেমন উদ্বেগের না-ও হতে পারে।
তাসমানিয়ার কোচ জেফ ভন বলেছেন, ‘‘ওয়েড ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেটের ফাইনালকে প্রাধান্য দেওয়ায় আমরা খুশি। ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা খুশি, গুজরাত কর্তৃপক্ষ ওকে অনুমতি দিয়েছে। ওয়েড আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার।’’
গুজরাত দলে ওয়েড ছাড়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসাবে রয়েছেন ঋদ্ধিমান এবং তরুণ রবীন মিঞ্জ। কিছু দিন আগে রবীনও পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আইপিএলের শুরু থেকে তাঁর মাঠে নামা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা ছাড়া সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে তাঁর অভিজ্ঞতাও নেই। স্বাভাবিক ভাবেই ওয়েডের অনুপস্থিতিতে ঋদ্ধিমানের উপরই নির্ভর করতে হবে গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএল খেলছেন শিলিগুড়ির ঋদ্ধি।