(বাঁদিক থেকে) বিরাট কোহলি, জো রুট, কেন উইলিয়ামসন এবং স্টিভ স্মিথ। —ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ, জো রুট এবং কেন উইলিয়ামসন। এই চার জনকে এখনকার সেরা ব্যাটার হিসাবে চিহ্নিত করে থাকেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। কোহলি, স্মিথ, রুট আগেই ১০০ টেস্টের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। শুক্রবার করলেন উইলিয়ামসন। এঁদের প্রত্যেকের ১০০তম টেস্টে রয়েছে একটি মিল।
চার ক্রিকেটারের শততম টেস্টে মাঠে থাকার সুযোগ হয়েছে এক জনের। দর্শক হিসাবে নয়। আম্পায়ার হিসাবে। তিনি নিতিন মেনন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলে থাকা ভারতে একমাত্র আম্পায়ারের এই কৃতিত্ব নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে। সমসাময়িক সময়ের চার সেরা ক্রিকেটারের শততম টেস্ট পরিচালনার কৃতিত্ব আর কারও নেই। যাঁদের একত্রে ক্রিকেটের ‘ফ্যাব ফোর’ বলা হয়।
২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে কোহলি, স্মিথ, উইলিয়ামসন এবং রুটের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বের। তাঁদের প্রত্যেকের ক্রিকেটজীবনের একটি মাইলফলকের সঙ্গে জুড়ে থাকলেন মেনন। যাঁকে এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা আম্পায়ার বলা হয়। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করছেন ২০১৭ সাল থেকে। এখনও পর্যন্ত ২৯টি টেস্ট, ৭২টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৬৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ৪০ বছরের মেনন। এ ছাড়াও মহিলাদের ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০২০ সাল থেকে তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য।
নিতিন মেনন। — ফাইল চিত্র।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই মেননের। মধ্যপ্রদেশের হয়ে লিস্ট ‘এ’ (৫০ ওভারের) ম্যাচ খেলেছেন দু’টি। সেই অর্থে জাতীয় স্তরে তাঁর ক্রিকেটজীবনের মেয়াদ দু’দিনের। ২০০৪ সালের ৮ জানুয়ারি মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলেছিলেন বিদর্ভের বিরুদ্ধে। আর দ্বিতীয় এবং শেষ ম্যাচটি উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে মেনন খেলেছিলেন ২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি। ক্রিকেটার হিসাবে সাফল্য না পেলেও আম্পায়ার মেননের উপর আস্থা রয়েছে সব দেশের ক্রিকেটারদের।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া নিউ জ়িল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট উইলিয়ামসনের মতোই শততম টেস্ট টিম সাউদির। ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চম বার একাধিক ক্রিকেটার এক সঙ্গে নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন ক্রাইস্টচার্চে। চতুর্থ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। ধর্মশালায় নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো। প্রথম বার এমন হয়েছিল ২০০০ সালে। ইংল্যান্ডে মাইক অর্থারটন এবং অ্যালেক স্টুয়ার্ট ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে নিজেদের শততম টেস্ট খেলেছিলেন এক সঙ্গে। ২০০৬ সালে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক কালিস, শন পোলক এবং নিউ জ়িল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং এক সঙ্গে শততম টেস্ট খেলেছিলেন। তৃতীয় বার এমন হয়েছে ২০১৩ সালে পার্থে। ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক এবং অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্ক শততম টেস্ট খেলেছিলেন।