মনোজ তিওয়ারি। — ফাইল চিত্র।
আগামী রবিবার ইডেনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ। ময়দানে সেই ম্যাচের টিকিট নিয়ে হাহাকার রয়েছে। সিএবি-র সদস্যেরা তো বটেই, আরও অনেক যোগ্য ব্যক্তিও টিকিট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকিটের এই ডামাডোল নিয়ে এ বার মুখ খুললেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। হাওড়ার বালিটিকুরিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, টিকিট কোথায় রয়েছে তা বোধহয় ব্যোমকেশ বক্সীকে খুঁজে বার করতে হবে।
সাংবাদিক বৈঠকে মনোজ বলেছেন, “টিকিট কোথায় সেই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র ব্যোমকেশ বক্সী দিতে পারবেন। আমি কিছু জানি না।” তিনি আরও জানান, সিএবি একটি স্বশাসিত সংস্থা। তাদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও লেনদেন নেই। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য বিজেপি নেতারা। কিন্তু বাংলায় সে রকম ব্যাপার নেই। মনোজের মতে, টিকিট কোথায় গেল সেটা সিএবি সভাপতি বলতে পারবেন। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, কলকাতায় বিশ্বকাপ টিকিটের কালোবাজারির তদন্তে নেমে এ বার কলকাতা পুলিশ শুক্রবার ডেকে পাঠিয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি)-এর সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিএবির পক্ষ থেকে অবশ্য কলকাতা পুলিশের এই ডেকে পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডাক পাঠানো হয়েছিল অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা একটি সংস্থার প্রতিনিধিদের। শুক্রবারই তাঁরা হাজিরা দিয়েছেন ময়দান থানায়।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৯৪টি টিকিট। ময়দান এবং এন্টালি, কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় মোট সাতটি এফআইআর হয়েছে সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।
ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেছেন মনোজ। তাঁর মতে, ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে টস একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। ধীরে ধীরে শীত পড়ছে। মাঠে শিশির পড়লে বল গ্রিপ করতে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে, আগে যারা ব্যাট করবে তারা সুবিধা পেতে পারে।