মুশফিকুর রহিম। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানকে প্রথম বার টেস্টে হারাল বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়লেন মুশফিকুর রহিমেরা। আর ম্যাচের সেরা হিসাবে পাওয়া অর্থ মুশফিকুর দান করে দিলেন দেশের বন্যা বিধ্বস্ত মানুষকে।
রবিবার পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। সেই জয়ে বড় অবদান রাখেন মুশফিকুর। ১৯১ রান করেন তিনি। তাঁর সেই শতরানে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে আসে। টেস্ট জিতে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে মুশফিকুর বলেন, “আমি একটা ঘোষণা করতে চাই। এই টাকা আমি বাংলাদেশের বন্য দুর্গতদের দান করলাম।” শুধু ম্যাচ নয়, দেশের মানুষের মনও জিতে নিলেন মুশফিকুর।
বিদেশের মাটিতে খুব বেশি জয় পায়নি বাংলাদেশ। মুশফিকুর বলেন, “এটা আমার জীবনের সেরা ইনিংস। কারণ বিদেশের মাটিতে আমরা তেমন ভাল খেলতে পারিনি। সব ক্রিকেটারেরা এই সিরিজ়ের জন্য অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল। এই সিরিজ়ের আগে আমরা আড়াই মাস সময় পেয়েছিলাম। সাদা বলের ক্রিকেটারেরা বিশ্বকাপ খেলছিল, কিন্তু বাকিরা এই সিরিজ় মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমি কোচ এবং ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই পাশে থাকার জন্য। দেশের হয়ে ভাল খেলার জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা পাই।”
টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ৪৪৮ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয়। শতরান করেন সাউদ শাকিল (১৪১) এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ান (১৭১)। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তোলে ৫৬৫ রান। মুশফিকুর ছাড়াও রান করেন ওপেনার শাদমান ইসলাম (৯৩) এবং মেহেদি হাসান মিরাজ (৭৭)। দ্বিতীয় ইনিংসে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। মিরাজ একাই নেন চার উইকেট। শাকিব আল হাসান নেন তিন উইকেট। তাঁদের দাপটে ১১৭ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৪৬ রানে। মাত্র ৩০ রানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। সহজেই সেই রান তুলে নেন দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং শাদমান।
‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে শুকনো খাবার এবং পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় আবার স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারছেন না। সরকারি হিসাবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে চট্টগ্রামে ৫, কুমিল্লায় ৪, নোয়াখালিতে ৩, কক্সবাজারে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেণী এবং লক্ষ্মীপুরে এক জন করে মারা গিয়েছেন।