নাইট রাইডার্সকে জেতানোর পথে (বাঁ দিকে) আন্দ্রে রাসেল ও রাইলি রুসো। ছবি: টুইটার
পর পর চার ম্যাচে হেরে অবশেষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিতল লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স। মেজর ক্রিকেট লিগের শেষ চারের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে শাহরুখ খানের দল। গ্রুপের সব ক’টি ম্যাচে হারের লজ্জা থেকে বাঁচল নাইট রাইডার্স। সিয়াটেল ওরকাসকে দু’উইকেটে হারাল তারা। আন্দ্রে রাসেল ও রাইলি রুসোর ব্যাটিং হারের মুখ থেকে জয়ে নিয়ে গেল তাদের।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন নাইটদের অধিনায়ক সুনীল নারাইন। সিয়াটেলের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক ও নৌমান আনোয়ার দ্রুত শুরু করেন। কিন্তু ১০ রান করে অ্যাডাম জ়াম্পার বলে আউট হন ডি’কক। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে নৌমানেরও উইকেট হারায় সিয়াটেল। তিনি ৩২ রান করেন।
মাঝের ওভারে দলের ইনিংস সামলান শেহান জয়সূর্য ও হেনরিখ ক্লাসেন। জুটি গড়েন তাঁরা। সেই জুটি ভাঙেন নারাইন। ২৫ রানে ক্লাসেনকে আউট করেন তিনি। পর পর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে রানের গতি কমে যায় সিয়াটেলের। কিন্তু তখনও টিকেছিলেন শেহান। ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গে মিলে দলকে টেনে তোলেন তিনি। শেষ দিকে দ্রুত রান করেন সিয়াটেলের দুই ব্যাটার। অবশেষে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে সিয়াটেল। ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন শেহান।
১৭১ রানে তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ হয় নাইট রাইডার্সের। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে চার উইকেট পড়ে যায় তাদের। জেসন রয়, জাসকরন মলহোত্র, গজানন্দ সিংহ, সইফ বদর রান পাননি। দেখে মনে হচ্ছিল, আরও একটা ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হবে নাইটদের। কিন্তু সেখান থেকে দলের হাল সামলান রুসো ও রাসেল।
নিজেদের পরিচিত ভঙ্গিতে শট খেলতে শুরু করেন দুই ব্যাটার। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছিলেন তাঁরা। কয়েক ওভারের মধ্যেই খেলার ছবি বদলে দেন তাঁরা। রাসেল ৩৭ রান করে আউট হলেও এক দিকে টিকেছিলেন রুসো। অর্ধশতরান করে খেলছিলেন তিনি। রাসেল আউট হওয়ার পরে আবার দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে নাইট রাইডার্স। শেষ দিকে দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রুসো। পাঁচ বল বাকি থাকতে ছক্কা মেরে দলকে জেতান তিনি। ৩৮ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রুসো।
এই জয়ের ফলে পাঁচটির মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট নাইট রাইডার্সের। নেট রানরেটেও (-২.০২৮) সবার শেষে রয়েছে শাহরুখের দল।