—প্রতীকী চিত্র
ক্রিকেটে নতুন ‘কীর্তি’ গড়লেন সুনীল নারাইন। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে লাল কার্ড দেখলেন তিনি। আম্পায়ারের নির্দেশে মাঠের বাইরে যেতে হল নাইট রাইডার্সের এই ক্রিকেটারকে। অবশ্য তাতে নারাইনের বিশেষ দোষ ছিল না। দলের মন্থর বোলিংয়ের খেসারত দিতে হল তাঁকে।
ঘটনাটি ঘটেছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। সেখানে শাহরুখ খানের আর একটি দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন নারাইন। এই মরসুম থেকেই লাল কার্ডের নিয়ম চালু হয়েছে সেই প্রতিযোগিতায়। প্রথম বার লাল কার্ড দেখতে হল নারাইনকে।
সেন্ট কিট্স অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিরুদ্ধে মন্থর বল করে নাইট রাইডার্স। ফলে শেষ ওভারের আগে দলের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডকে আম্পায়ার নির্দেশ দেন এক জন ক্রিকেটারের নাম জানাতে যাঁকে তিনি লাল কার্ড দেখাবেন। পোলার্ড নারাইনের নাম বলেন। তার পরে নারাইনকে লাল কার্ড দেখান আম্পায়ার। তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে হয়। শেষ ওভারে ১০ জন ফিল্ডার নিয়ে খেলতে হয় নাইটদের। তার আগে অবশ্য ৪ ওভার বল করে ফেলেছিলেন নারাইন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই ডানহাতি স্পিনার।
এ বারের প্রতিযোগিতার শুরুতে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ডিরেক্টর মাইকেল হল জানিয়েছিলেন, ১৮তম ওভারের শুরুতে যদি দেখা যায় বোলিং দল সময়ের থেকে পিছনে চলছে তা হলে এক জন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরে থাকতে হবে। যদি ১৯তম ওভারের শুরুতেও বোলিং দল সময়ের পিছনে চলে তা হলে দু’জন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরে থাকতে হবে। অর্থাৎ, বাউন্ডারিতে মাত্র তিন জন ফিল্ডার থাকবেন। আর যদি ২০তম ওভারের আগেও বোলিং দল সময়ের পিছনে থাকে তা হলে এক জন ফিল্ডারকে লাল কার্ড দেখানো হবে। অর্থাৎ, এক জনকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। কোন ফিল্ডার বাইরে যাবেন সেটা ঠিক করবেন বোলিং দলের অধিনায়ক। অর্থাৎ, শেষ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরে ছ’জন ও বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডার থাকবেন।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একটি ইনিংস শেষ করার জন্য ৮৫ মিনিট করে সময় বরাদ্দ থাকে। এই হিসাবে বোলিং দলকে ৭২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ১৭তম, ৭৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ১৮তম, ৮০ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে ১৯তম ওভার শেষ করতে হবে। সময়ের মধ্যে ওভার শেষ হচ্ছে কি না সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছিলেন মাইকেল। সেটাই দেখা গেল নাইট রাইডার্সের ম্যাচে। খেসারত দিতে হল নারাইনকে।