বিশ্বকাপের আগে চোট পেলেন যশপ্রীত বুমরা। ছবি: পিটিআই
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চোট পেলেন যশপ্রীত বুমরা। ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম সেরা পেসার তিনি। গতি, ক্ষিপ্রতা এবং বৈচিত্র্যে ভরপুর তাঁর বোলিং। তাঁর বোলিং আগ্রাসী হলেও মুখে থাকে হাসি। বিশ্ব ক্রিকেটে এমন পেসার খুব কমই আছেন যাঁদের সব সময় ঠান্ডা মাথায় বল করতে দেখা যায়। বুমরা তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সেই বুমরা চোট লাগলে, মাঠের বাইরে থাকতে হলে, কী ভাবে নিজেকে সামলান?
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুমরা বলেন, “আমার যদি একটা খারাপ দিন যায়, নিজেকে সব কিছুর থেকে দূরে সরিয়ে নিই। অন্য কিছুতে মন দেওয়ার চেষ্টা করি। পরে শান্ত মনে ভাবি যে কী ভুল হল। ভাল হোক বা খারাপ, সব সময় চেষ্টা করি সেটা থেকে ভেবে ভাল কিছু বার করতে। তার পর কোচের কাছে ফিরে যাই পরামর্শ নিতে। একটা সময়ের পর কে কী বলছে শুনি না। নিজেকে সব থেকে ভাল নিজে বোঝা যায়। আমি নিজের কেরিয়ার একাই তৈরি করেছি।”
জীবনে ধাক্কা খাওয়া যদিও বুমরার কাছে নতুন নয়। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। সেই সময় থেকেই নিজেকে তৈরি করার দিকে মন দিয়েছেন বুমরা। তিনি বলেন, “আমার মা কাজ করতে শুরু করে। এক দিন ভাল কাটে, তো অন্য দিন শূন্য। তাই কখনও ভাল হলে আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই না। জানি যে কোনও সময় খারাপ হতে পারে। আমার মা প্রচুর করেছে আমাদের জন্য। আমরা জানি যখন কোনও কিছু খারাপ ঘটে, তখন পৃথিবী কী ভাবে বদলে যায়। সেই কারণে এখন ভাল কিছু ঘটলেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি।”
যে শান্ত বুমরাকে এখন দেখা যায়, তিনি সব সময় তেমন ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন। বুমরা বলেন, “আমি সব সময় এ রকম ছিলাম না। যখন ক্রিকেট খেলতে শুরু করি, তখন অন্য রকম পরিস্থিতি ছিল। প্রচণ্ড আগ্রাসী ছিলাম আমি। খুব সহজে মাথা গরম হয়ে যেত আমার। পরে বুঝতে পারি যে তাতে কোনও লাভ হয় না। নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার পরেই আমার উন্নতি হয়।”