এশিয়া কাপের শুরুতেই কঠিন লড়াই ভারতের সামনে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় মানে কার্যত গ্রুপের সেরা দল হিসাবে প্রতিযোগিতার সুপার ফোরে জায়গা। তাই এই ম্যাচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেমন দল নিয়ে বাবর আজমদের বিরুদ্ধে নামবেন রোহিত শর্মারা। দেখে নেওয়া যাক ভারতের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ।
রোহিত নিশ্চিত ভাবেই দলের ইনিংস শুরু করবেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটার তিনি। দলের অধিনায়কও। আগ্রাসী মেজাজে দলের ইনিংসের ছন্দ বেঁধে দিতে পারেন। দলের ইনিংসের শুরুতে তাঁর নামা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।
অধিনায়কের সঙ্গে সম্ভবত ইনিংস শুরু করবেন সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। জিম্বাবোয়ে সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন রাহুল। ওপেনার হিসাবেও অভিজ্ঞ। রোহিতের সঙ্গে রাহুলই ওপেনার হিসাবে প্রথম পছন্দ হবেন।
ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে আসবেন বিরাট কোহলী। ইংল্যান্ড সিরিজের পর প্রায় এক মাস বিশ্রাম নিয়েছেন কোহলী। এশিয়া কাপে ছন্দে ফিরতে মরিয়া প্রাক্তন অধিনায়ক। কোহলী রান পেলে ভারতীয় দলের ব্যাটিং ঝকঝকে দেখাবে।
চার নম্বরে আসতে পারেন সূর্যকুমার যাদব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার। বেশ ভাল ছন্দে রয়েছেন তিনি। ভারতের প্রথম একাদশে সূর্যকুমারের থাকা নিয়ে প্রশ্ন নেই।
পাঁচ নম্বরে নামতে পারেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য। আইপিএল থেকেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। দ্রুত রান করতে পারেন। চার ওভার বল করতে পারবেন। দলের ভারসাম্যের জন্যই প্রথম একাদশে হার্দিকের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই।
ছয় নম্বরে নামতে পারেন ঋষভ পন্থ। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। বাড়িয়ে দিতে পারেন রান তোলার গতি। প্রথম একাদশে ঋষভের নির্বাচন নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভারতের হয়ে সাধারণত ছয় নম্বরেই ব্যাট করেন তিনি।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে পারেন আরেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। আইপিএল থেকেই কার্তিককে নতুন মেজাজে দেখা যাচ্ছে। ফিনিশারের ভূমিকা পালন করছেন দক্ষতার সঙ্গে। দরকারে উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও সামলাতে পারবেন তিনি।
ব্যাটিং অর্ডারের আট নম্বরে আসতে পারেন রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁরও প্রথম একাদশে থাকা নিয়ে বিশেষ প্রশ্ন নেই। দলের ভারসাম্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেন। তাঁর বাঁহাতি স্পিন বোলিংও যথেষ্ট কার্যকর।
ব্যাটিং অর্ডারে নয় থেকে এগারো নম্বর পর্যন্ত মূলত বিশেষজ্ঞ বোলারদের জন্যই নির্দিষ্ট। নয় নম্বরে আসতে পারেন যুজবেন্দ্র চহাল। দলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন থাকলেও চহালের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে চহালকেই বেশি কার্যকর বলে মনে করা হয়।
ব্যাটিং অর্ডারের দশম স্থানে লড়াই দু’জনের। দুই তরুণ জোরে বোলার অর্শদীপ সিংহ এবং আবেশ খানের মধ্যে এক জন খেলবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের নিরিখে কিছুটা হলেও এগিয়ে অর্শদীপ। শেষ দিকের ওভারে কৃপণ বোলিং করতে পারেন। অর্শদীপের হাতে রয়েছে ভাল ইয়র্কারও।
ব্যাটিং অর্ডারের এগারো নম্বরে ভুবনেশ্বর কুমারের খেলা এক রকম নিশ্চিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভুবনেশ্বরকেই দেশের সেরা জোরে বোলার বলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বরের প্রথম একাদশে থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই।