রাহুল দ্রাবিড়। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর কেটে গিয়েছে ৩৫ দিন। ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটারেরা আবার নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বার টেস্ট সিরিজ় জিততে মরিয়া তারা। প্রথম টেস্টের দু’দিন আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের ব্যর্থতা আর তাড়া করছে না ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ইতিহাস লিখতে চান তাঁরা।
২৬ ডিসেম্বর শুরু প্রথম টেস্ট। তার দু’দিন আগে দ্রাবিড় বলেছেন, “ফাইনাল আমাদের কাছে অতীত। হ্যাঁ, হতাশাজনক ছিল ব্যাপারটা। কিন্তু আমরা এগিয়ে গিয়েছি। এখন আমাদের সামনে নতুন কিছু রয়েছে। ক্রিকেটারেরাও সব পেরিয়ে এসেছে। ছোটবেলা থেকেই আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে শিখেছি। যেমন আউট হলেই সবাই হতাশ হয়। কিন্তু আরও একটা ইনিংস হাতে থাকে। পরের ইনিংসে ভাল খেলতে হয়। ক্রিকেটার হিসেবে কখনও অতীতের হতাশা বয়ে বেড়ানো উচিত নয়। কী ভাবে সেটা সামলাতে হবে সেটা দেখা উচিত। না হলে পরের ম্যাচে প্রভাব ফেলবে। হ্যাঁ, ছেলেরা হতাশ ছিল। কিন্তু সব পেরিয়ে এখন আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই।”
দ্রাবিড় জানিয়েছেন, টেস্ট সিরিজ় শুরুর আগে ক্রিকেটারদের নতুন করে অনুপ্রাণিত করার দরকার নেই। কারণ, প্রত্যেকেই পেশাদার। তাঁরা এগিয়ে যেতে জানেন। দ্রাবিড় বলেছেন, “কারওর মধ্যে অনুপ্রেরণার অভাব দেখিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা, এখানে টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাওয়া বিরাট ব্যাপার। তাই অনুপ্রেরণার অভাব কারও মধ্যে নেই। আমি এখানে অনুপ্রাণিত করতেও আসিনি।”
দ্রাবিড়ের সংযোজন, “আমি ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে আসিনি। আমি চাই দলের পরিবেশ ঠিক থাকুক। ওরা ভাল করে অনুশীলন করুক। শারীরিক, মানসিক এবং কৌশলগত ভাবে ঠিক থাকুক। কোচ হিসেবে এটাই আমার আসল কাজ।”
ঈশান কিশন ছিটকে যাওয়ায় টেস্টে উইকেটকিপার হিসেবে কেএল রাহুল এবং কোনা ভরতের মধ্যে বেছে নিতে হবে ভারতকে। দ্রাবিড়ের ইঙ্গিত, রাহুলই কিপিং করবেন। বলেছেন, “দু’জনের কিপারের মধ্যে বেছে নেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জের। রাহুলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও টেস্টে কিপিং করতে ইচ্ছুক। আগে ৫০ ওভার কিপিং করেছে। তাতেই তৈরি হয়েছে গিয়েছে। গত ছ’-সাত মাসে অনেক কিপিং করায় রাহুল আত্মবিশ্বাসী।”