রবিবার অনুশীলনে কোহলি। ছবি: পিটিআই।
ঠিক ৩৫ দিন আগে ভাঙা হৃদয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই রাতের পর আবার মাঠে ফিরলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের প্রস্তুতি শুরু হল এ দিন থেকেই। দুই ক্রিকেটারই গা ঘামালেন। পাশাপাশি টেস্ট সিরিজ়ের দলে থাকা বাকি সদস্যেরাও চুটিয়ে অনুশীলন করলেন। তবে বিশ্বকাপের মতো সেই হাসি, মজা দেখা গেল না এই অনুশীলনে। বরং চুপচাপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শেষ সীমান্ত জয় করার মরিয়া চেষ্টায় মগ্ন থাকলেন রোহিত, বিরাটেরা।
৩১ বছরের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ় জেতেনি ভারত। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটি নিয়ে কিছু দিন লন্ডনে কাটিয়ে এসেছেন কোহলি। এ দিন অনুশীলনে আসেন প্রায় আধ ঘণ্টা পরে। নেটের বোলারদের খেলার পাশাপাশি কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় কোহলিকে।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়ায় মনোযোগ দেন তিনি। বাউন্স এবং পেস সহায়ক উইকেটে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এক বার থিতু হয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু আগ্রাসী শট খেলেন। পেসারদের বিরুদ্ধেও আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে তাঁকে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা বলেন। তা বোর্ডের ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে। পরে রোহিতও অনেক ক্ষণ কথা বলেন প্রসিদ্ধের সঙ্গে। দেখে মনে হয়েছে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেন প্রসিদ্ধ।
তবে রোহিত এবং বিরাট একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি। দু’জনে আলাদা পিচে অনুশীলন করেন। এক ঘণ্টা করে থ্রো-ডাউন নেন। বিকল্প উইকেটকিপার কেএস ভরতকে কিপিং করতে দেখাই যায়নি। রাহুলই সেই দায়িত্ব নেন। স্লিপে রাখা হয় শুভমন গিল এবং যশস্বী জয়সওয়ালকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বিরুদ্ধে সাবলীল ব্যাট করেন রোহিত। শার্দূল ঠাকুরকেও খেলতে দেখা যায়।
তবে একেবারেই যে হাসি, মজা ছিল না তা নয়। রোহিত মজা করে এক সাংবাদিককে বলেন, “এখানে তোমার অনেক প্রতিযোগী রয়েছে। বাকিরাও অনেকে এসেছে।” পরে যশস্বীর সঙ্গে একসঙ্গে নেটে ব্যাট করতে যাওয়ার সময় তরুণ সতীর্থকে রোহিত বলেন, “তুই আগে যাবি নাকি আমি?” যশস্বী মাথা নেড়ে রোহিতকে এগিয়ে যেতে বলেন।
থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞ দয়ানন্দ গরানি মাঝে এক বার রোহিতকে বলেন, “দাদা আপনার জন্য বাঁ হাতি বোলার আনব নাকি ডান হাতি?” রোহিত ঈশারায় জানিয়ে দেন, যে কোনও বোলারকেই তিনি খেলতে তৈরি।