ধোনির সঙ্গে উথাপ্পা। —ফাইল চিত্র
ক্রিকেটের সব ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেন রবিন উথাপ্পা। ভারতের হয়ে ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। আইপিএলে দু’বার ট্রফি জিতেছেন উথাপ্পা। ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও ২০২১ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল জিতেছেন কর্নাটকের এই ডান হাতি ব্যাটার।
টুইট করে নিজের অবসরের কথা জানিয়েছেন উথাপ্পা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার রাজ্য কর্নাটক ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে সব থেকে বড় সম্মানের। সব ভালরই একটা শেষ আছে। খুব ভারাক্রান্ত মনে আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানাচ্ছি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’
২০০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ভারতের এক দিনের দলে অভিষেক হয়েছিল উথাপ্পার। পরের বছর ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেও অভিষেক হয় তাঁর। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল খেলেছিলেন উথাপ্পা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই অর্ধশতরান করেছিলেন। অধিনায়ক হিসাবে ধোনির বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিল তাঁর। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ভারতের হয়ে শেষ বার এক দিনের ম্যাচে খেলতে নামেন উথাপ্পা।
ভারতের হয়ে ৪৬টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন উথাপ্পা। করেছেন ৯৩৪ রান। ছ’টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন দু’টি উইকেট। দেশের হয়ে ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৪৯ রান করেছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে একটি অর্ধশতরান করেছেন তিনি।
২০০৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয় উথাপ্পার। পরের বছর তাঁকে কেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সেখানে দু’বছর কাটিয়ে ২০১১ সালে পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ায় যোগ দেন উথাপ্পা। ২০১৪ সালে তাঁকে কেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কলকাতার হয়ে সব থেকে ভাল সময় কেটেছে তাঁর। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটি কলকাতাকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। ২০১৪ সালে আইপিএলে সব থেকে বেশি রান করায় কমলা টুপির মালিক হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে তাঁকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। ২০২০ সালে রাজস্থান রয়্যালস কেনে তাঁকে। ২০২১ সালে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন তিনি। পুরো প্রতিযোগিতায় সুযোগ না পেলেও প্লে-অফে ভাল খেলেছিলেন তিনি।
আইপিএলে ২০৫টি ম্যাচ খেলেছেন উথাপ্পা। করেছেন ৪৯৫২ রান। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান করা ব্যাটারদের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন তিনি। আইপিএলে ২৭টি অর্ধশতরান করেছেন উথাপ্পা।