রিয়ান পরাগ। —ফাইল চিত্র।
অসমের রিয়ান পরাগকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে ঝড় উঠেছে একাধিক বার। কখনও তাঁকে কটূক্তি করা হয়েছে। কখনও আবার উঠেছে পরাগকে ভারতীয় দলে নেওয়ার দাবি। জ়িম্বাবোয়ে সফরে সুযোগ পেয়েছেন পরাগ। সেই সফরে খেলতে যাওয়ার আগে সমালোচকদের একহাত নিলেন তিনি। ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েও ঝরে পড়ল অভিমান।
২০১৯ সালে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল পরাগের। সে বার ভাল খেললেও পরের চারটি আইপিএলে সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। তাঁকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে নানা ধরনের কটূক্তি করা হয়েছিল। এই বছর ফিরে আসেন পরাগ। আইপিএলে তাঁর ব্যাটিং নজর কাড়ে নির্বাচকদের। পরাগ জায়গা করে নেন ভারতীয় দলে। অসমের ক্রিকেটার বলেন, “এত কটূক্তি সহ্য করা সহজ নয়। গত বছর আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি। সেটা কাজে দেয়। তার পরেই এই প্রত্যাবর্তন। হয়তো আমার প্রস্তুতি কম ছিল, কিছু জায়গায় আমার খামতি ছিল। কিন্তু আমি নিজের সেরাটাই সব সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মানুষ যা পেরেছে বলে গিয়েছে। গত বছর অনেকেই বলেছিল আমি আইপিএল খেলার যোগ্য নই। তারাই আবার আমাকে এখন ভারতীয় দলে চাইছে। মানুষ এই ভাবেই বদলে যায়।”
ক্রমাগত কটূক্তি সহ্য করে খেলা কঠিন ছিল, মানছেন পরাগ। তিনি বলেন, “যন্ত্রণাই মানুষকে পরিণত করে। কোটি কোটি মানুষ আইপিএল দেখে। তাই খেলতে না পারলে খারাপ লাগে। সেই যন্ত্রণা বেড়ে যেত মানুষের কথায়, সমর্থকদের কথায়। মনে হত, কেন আমাকে এত কটাক্ষ সহ্য করতে হয়? মানুষ কেন আমাকে নিয়ে এত নেতিবাচক কথা বলে? রাজস্থান রয়্যালস ছাড়া কেউই আমাকে নিয়ে খুশি ছিল না। আমি নিজের খেলাকে বোঝার চেষ্টা করি। সেটাই আমাকে বদলে দেয়। আরও বেশি করে ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়।”
এই বছরের আইপিএলে পরাগ ১৬ ম্যাচে ৫৭৩ রান করেন। সর্বাধিক রানশিকারির তালিকায় তিনি তৃতীয় স্থানে শেষ করেন। গড় ৫২.০৯। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.২১। চারটি অর্ধশতরান করেন তিনি।