লোকেশ রাহুল। —ফাইল চিত্র
দীর্ঘ চোটের পর আবার খেলায় ফিরেছেন লোকেশ রাহুল। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের নেপথ্যে অন্য এক জনের ভূমিকার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটার। তিনি ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় বা ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর নন। তা হলে কার কথা বলেছেন রাহুল?
ভারতীয় ক্রিকেটার বলেছেন মানসিক শক্তি বাড়ানোর কাজে নিযুক্ত কোচের কথা। ভারতীয় দলে এই দায়িত্বে এখন রয়েছেন প্যাডি আপটন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন প্যাডি। গত বছর জুন মাসে তাঁকে আবার নিযুক্ত করা হয়েছে। তার ফল পাচ্ছে ভারতীয় দল।
রাহুল নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে বলেন, ‘‘চোট সারিয়ে ফেরার জন্য শুধু শারীরিক ভাবে সুস্থ হলে হবে না, মানসিক ভাবেও সুস্থ হতে হবে। গত কয়েক মাসে বাইরের বিভিন্ন ঘটনায় আমার মানসিক ভাবে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণে আমি মানসিক শক্তি বাড়ানোর কাজে নিযুক্ত কোচের কাছে যাই। ব্যাটিং কোচ বা বোলিং কোচের মতো এই কোচেরাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার ফল আমি পেয়েছি।’’
রোহিত শর্মার পরামর্শেও তাঁর অনেক সুবিধা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাহুল। রোহিত সমাজমাধ্যমে চোখ রাখেন না। ফলে বাইরে কী হচ্ছে সে দিকে তাঁর খেয়াল থাকে না। সেই একই কাজ করেছেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে আমাকে নিয়ে কী কথা হচ্ছে সে দিকে আমি তাকাই না। নিজের চোখ-কান বন্ধ রাখার চেষ্টা করি। সেটা কাজেও দিয়েছে।’’
লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন রাহুল। কয়েক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। গত মাসের এশিয়া কাপেও খেলতে পারেননি। বিশ্বকাপে অবশ্য চেনা ফর্মে পাওয়া গিয়েছে তাঁকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লখনউয়ের মাঠের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘আইপিএলের সময় এটাই আমার ঘরের মাঠ। গত আইপিএলে লখনউয়ের হয়ে খেলেছি এখানে। আমার অন্যতম প্রিয় মাঠ এটা। বহু মানুষ আমাদের সমর্থন জানাতে মাঠে আসতেন। ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি আমরা। এখানে খেলার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। শুধু লখনউয়ের বাসিন্দাদের নয়, গোটা উত্তরপ্রদেশের মানুষের সমর্থন পেয়েছি। অনেক দিন বাদে এই মাঠে এলাম। ঢুকেই একটু দৌড়ে নিয়েছি মাঠে।’’
কথায় কথায় এসেছে চোটের প্রসঙ্গও। রাহুল বলেছেন, ‘‘এখানে শেষ ম্যাচের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। আসার আগে ট্রেনারকে সেটাই বলছিলাম। বলা যেতে পারে আমার ক্রিকেটজীবনের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। চোটটা আমার ক্রিকেটজীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে। অনেক বার চোট পেয়েছি। অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতাগুলো কখনও ভাল হয় না। কোনও খেলোয়াড়ের পক্ষেই ভাল হয় না চোটের অভিজ্ঞতা। তবে আবার এখানে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে।’’