বেশির ভাগ সময়েই দামি ঘড়ি দেখা যায় হার্দিকের কব্জিতে ফাইল চিত্র।
টি২০ বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে লাগাতার সমালোচনা হয়েছে। বিশ্বকাপ শেষেও বিতর্কের কেন্দ্রে ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্য। দুবাই থেকে ফেরার পথে মুম্বই বিমানমন্দরে তাঁর কাছ থেকে দু’টি দামি ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করেছেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা। যদিও হার্দিকের দাবি, নেটমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। ঘড়ির সব কাগজ জমা দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ শেষে ভারতীয় দলের সঙ্গে দেশে ফেরার পরে মুম্বই বিমানবন্দরে হার্দিকের কাছে দু’টি দামি ঘড়ি দেখতে পান সেখানে কর্মরত শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা। ঘড়ি দু’টির দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। হার্দিকের কাছে ঘড়ি দু’টি কেনার বিল দেখতে চাইলে তিনি নাকি তা দেখাতে পারেননি। তার পরে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকরা।
যদিও পরে টুইটারে হার্দিক বলেন, ‘আমি নিজেই মুম্বই বিমানমন্দরের শুল্ক বিভাগে গিয়ে দুবাই থেকে কিনে আনা ঘড়ির শুল্ক কর দিতে চাই। আমি তাঁদের জানাই, সব নিয়ম মেনেই ঘড়ি কেনা হয়েছে। আমার কাছে যা কাগজ চাওয়া হয়েছে সব জমা দিয়েছি। তার পরেও আমার একটি ঘড়ির মূল্য নির্ধারণের জন্য সেটি রেখে দেন আধিকারিকরা। ঘড়িটির দাম দেড় কোটি। আমার কাছ থেকে দু’টি ঘড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা ভুয়ো।’
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আইপিএল খেলে ফেরার পথে হার্দিকের দাদা ক্রুণাল পাণ্ড্যর কাছেও চারটি দামি ঘড়ি পেয়েছিলেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা। কাগজ দেখাতে না পারায় সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অলরাউন্ডার ক্রুণাল জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি জানতেন না ঘড়িগুলি দেশে নিয়ে আসার জন্য কাগজ দেখাতে হবে।
চলতি বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই দলে ছিলেন হার্দিক। একটি ম্যাচ ছাড়া বল করতে দেখা যায়নি তাঁকে। ব্যাট হাতেও আফগানিস্তান ম্যাচ ছাড়া রান পাননি তিনি। প্রথম এগারোয় তাঁকে রাখা নিয়ে ম্যানেজমেন্টকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বেশ কয়ের জন প্রাক্তন ক্রিকেটার। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না হার্দিকের।