রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
এই মুহূর্তে রোহিত শর্মার থেকে সুখি ব্যক্তি বোধ হয় কেউ নেই। বিশ্বকাপে টানা আটটি ম্যাচ জিতে নিল ভারত। অধিনায়ক রোহিত ছুঁয়ে ফেললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ২০০৩ বিশ্বকাপে টানা আটটি ম্যাচ জিতেছিল সৌরভের ভারত। তবে সে বার বিশ্বকাপটা জেতা হয়নি সৌরভদের। সেই সৌরভের ঘরের মাঠেই তাঁকে ছুঁয়ে ফেলার দিনে রোহিত নিশ্চয়ই সেটা চাইবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে রোহিত জানিয়ে দিলেন এ বারের বিশ্বকাপের সেরা তিনটি ম্যাচের কথা।
এ বারের বিশ্বকাপে ভারতকে এখনও পর্যন্ত কোনও দল চাপে ফেলতে পারেনি। রোহিত মনে করেন এর পিছনে বড় কারণ তাঁদের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৩ রানে হারিয়ে রোহিত বলেন, “আমরা শেষ তিনটি ম্যাচে যে ভাবে খেলেছি, সেটা প্রমাণ করে যে পরিস্থিতির সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিতে পারছি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কিন্তু আমরা শুরুতে চাপে ছিলাম। সেখান থেকে লড়াই করার মতো একটা স্কোরে পৌঁছে জাই। বাকি কাজটা করে পেসারেরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ওভারেই উইকেট হারাই। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলি মাঠে নেমে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছিল ও। বোলারেরা জানত ঠিক জায়গায় বল রাখলে বাকি কাজ পিচ করে দেবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই ম্যাচেও তেমনটাই হল।”
রোহিত মনে করেন দলের উপর বিশ্বাস রাখাটাও প্রয়োজন। তিনি বলেন, “শ্রেয়স প্রথম দিকে রান পাচ্ছিল না। আমরা ওর উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। সেটার দাম রেখেছে ও। কিন্তু যদি শ্রেয়স রান না পেত, তাহলেও ওকে খেলাতাম। কারণ বিশ্বাস রাখাটা জরুরি। সেটা এক দিনে তৈরি হয় না।”
বিশ্বকাপে শুরুর দিকে প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না মহম্মদ শামি। রোহিত বলেন, “শামি যে ভাবে দলে ফিরে এসে উইকেট নিতে শুরু করেছে, সেটা প্রমাণ করে যে, মানসিক ভাবে ও কতটা কঠিন। রবীন্দ্র জাডেজা ভাল খেলছে। শ্রেয়স রান পাচ্ছে। আমি আর শুভমন এখন ধারাবাহিক ভাবে শুরু করছি ইনিংস। আমরা কোনও কিছু আগে থেকে পরিকল্পনা করি না। আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলি। খুব বেশি দূরের জিনিস ভাবি না আমরা।”