দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে উল্লাস ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে চেন্নাইয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল ভারতের মহিলাদের দল। হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মন্ধানারা জানিয়েছিলেন যে ভারতের ফাইনাল পুরোটা দেখেছেন তাঁরা। ভারত বিশ্বকাপ জেতার দু’দিন পরে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকেই টেস্টে হারালেন ভারতের মহিলারা। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ১০ উইকেটে জিতলেন তাঁরা।
চেন্নাইয়ে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৬০৩ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় ভারত। ওপেন করতে নেমে ২৯২ রানের জুটি বাঁধেন শেফালি বর্মা ও মন্ধানা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করছিলেন তাঁরা। মন্ধানা ১৪৯ রান করেন। শেফালি করেন দ্বিশতরান। মহিলাদের ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে দ্রুততম দ্বিশতরান করেন ভারতের মহিলা ক্রিকেটার। ২০৫ রান করে আউট হন শেফালি।
অর্ধশতরান করেন জেমাইমা রদ্রিগেস, হরমনপ্রীত ও রিচা ঘোষ। জেমাইমা ৫৫ রানে আউট হন। অধিনায়ক হরমন করেন ৬৯ রান। রিচাও শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। ৮৬ রানের মাথায় আউট হন বাঙালি কন্যা। তিনি আউট হওয়ার পরেই ডিক্লেয়ার করে ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ২৬৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। সুনে লুস ৬৫ ও মারিজান কাপ ৭৪ রান করেন। বাকিরা তেমন রান করতে পারেননি। বল হাতে নজর কাড়েন স্নেহ রানা। ভারতের এই ডানহাতি স্পিনার ৮টি উইকেট নেন। বাকি ২টি উইকেট নেন আরও এক স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো অন করায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করে তারা। অধিনায়ক লরা উলভার্ট ১২২ ও লুস ১০৯ রান করেন। নাদিনে ডি’ক্লার্ক করেন ৬১ রান। ৩৭৩ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের হয়ে স্নেহ, দীপ্তি ও রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান পূজা বস্ত্রকর, শেফালি ও হরমনপ্রীত।
কোনও রকমে ইনিংসে হার বাঁচালেও হার বাঁচাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের দরকার ছিল ৩৭ রান। ৯.২ ওভারে তা করে নেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করতে নামেননি মন্ধানা। শেফালি ও শুভা সতীশ দলকে দয়ে নিয়ে যান। শেফালি ২৪ ও শুভা ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।