(বাঁ দিকে) জয় শাহ এবং রোহিত শর্মা ছবি: পিটিআই।
রোহিত শর্মাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। ভারতীয় দলের জন্য পরের লক্ষ্য ঠিক করে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। লক্ষ্যপূরণে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হবে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভারতীয় দলের মতোই বার্বাডোজ়ে আটকে রয়েছেন বিসিসিআই সচিব। সেখানেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পরের লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জয় বলেছেন, ‘‘আমাদের দল যে ভাবে উন্নতি করছে, তাতে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা। এই দুই প্রতিযোগিতায় প্রায় একই দল খেলবে। সিনিয়র ক্রিকেটারেরাও থাকবে। ওই দুটো ট্রফি আমরা জিততে চাই।’’ তা হলে কি আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে? এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জয়।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাডেজা— ভারতীয় দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেট খেলবেন তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৫ সালের টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁদের পাবে ভারত। সে কথা মাথায় রেখে সম্ভবত তিন সিনিয়র ক্রিকেটারকে দায়িত্ব মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জয়।
বোর্ড সচিব আরও বলেছেন, ‘‘বার্বাডোজ়ে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি গত বছরের বিশ্বকাপেও আমাদের অধিনায়ক ছিলেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে আমরা ফাইনাল ছাড়া বাকি সব ম্যাচ জিতেছিলাম। অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে ভাল খেলেছিল। এ বার আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বেশি কঠিন পরিশ্রম করেছি এবং ভাল খেলেছি। অন্য দলগুলির দিকে তাকালে বুঝবেন, অভিজ্ঞতা কত গুরুত্বপূর্ণ। রোহিত, কোহলি-সহ সকলে দুর্দান্ত খেলেছে। অভিজ্ঞতা অনেক পার্থক্য তৈরি করে দেয়। বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা করা যায় না।’’
তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তে বিস্মিত নন বোর্ড সচিব। জয় বলেছেন, ‘‘সেরা খেলোয়াড়েরা জানেন, বিদায় জানানোর সঠিক সময় কোনটা। আমরা তারই কয়েকটা উদাহরণ দেখলাম। অবসরের সময়ও রোহিতের স্ট্রাইক রেট দেখুন। যে কোনও তরুণ ব্যাটারের থেকে ভাল!’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি চাই ভারত সব ট্রফি জিতুক। আমাদের হাতে প্রচুর বিকল্প ক্রিকেটার রয়েছে, যা কোনও দেশের নেই। এই দলের মাত্র তিন জন জ়িম্বাবোয়ে সফরে যাবে। দরকার হলে আমরা একসঙ্গে তিনটে দল নামাতে পারি।’’
বোর্ড সচিব মেনে নিয়েছেন, ভারতীয় দলের পালাবদলের অধ্যায় শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘পালাবদল তো অবশ্যই শুরু হয়ে গিয়েছে। তিন জন সিনিয়র ক্রিকেটার একসঙ্গে অবসর নিলেন। এর থেকেই তো পরিষ্কার।’’ বিসিসিআই সচিবের মতে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাফল্যে পাওয়ার জন্য দলে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের ভারসাম্য প্রয়োজন। এখনকার ভারতীয় দলে কোনওটারই অভাব নেই। সেটাই তাঁকে বেশি আশাবাদী করছে।