রোহিতের বদলে নেতা রাহুল। ফাইল ছবি
তাঁকে দলে পাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া হচ্ছে না রোহিত শর্মার। চোটের কারণে ছিটকে গেলেন তিনি। দলকে নেতৃত্ব দেবেন কেএল রাহুল। সহ-অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা। দলে জায়গা পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এটাই প্রথম সিরিজ হতে চলেছে বিরাট কোহলীর। তিনি দলে রয়েছেন। যদিও তাঁর থাকা নিশ্চিতই ছিল। রোহিত থাকলে সহ-অধিনায়ক হতেন রাহুলই। কিন্তু রোহিতের অনুপস্থিতিতে সম্পূর্ণ নতুন অধিনায়ককে নিয়ে নামতে চলেছে ভারত। এর আগে দেশকে কোনও ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দেননি রাহুল। যদিও আইপিএল-এ পঞ্জাব কিংসকে গত দু’বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ খেলতে রওনা হওয়ার ঠিক আগে অনুশীলনে চোট পান রোহিত। বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট রয়েছে রোহিতের। গোটা টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ হয়ে যান তিনি। এনসিএ-তে পাঠানো হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে, প্রথম ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন রোহিত। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষা খতিয়ে দেখে তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি নির্বাচকরা।
দলে সব থেকে বড় চমক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রত্যাবর্তন। শিখর ধবন, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চহালের মতো যাঁদের ক্রিকেটজীবন শেষ বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ফেরানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কোচ রাহুল দ্রাবিড় অন্তত আরও এক বার সুযোগ দিতে চান অভিজ্ঞদের। ঠিক একই ভাবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এক দিনের দলে ফেরানো হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। উল্লেখ্য, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সুযোগ পেয়েছিলেন অশ্বিন।
একই ভাবে দলে নেওয়া হয়েছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, বেঙ্কটেশ আয়ার, ঈশান কিশন, মহম্মদ সিরাজের মতো তরুণদেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিজয় হজারে ট্রফিতে রুতুরাজ এবং বেঙ্কটেশ দু’জনেই খুব ভাল খেলেছেন। পাঁচ ম্যাচে রুতুরাজ ১৫০.৭৫ গড়ে ৬০৩ রান করেছেন। শতরান করেছেন চারটি। বেঙ্কটেশও বিজয় হজারেতে ভাল খেলেছেন। ১৫১ রান এবং ১১২ রানের দু’টি ইনিংস খেলেছেন তিনি। গড় ৭০-এর উপরে।
পুরো দল: কেএল রাহুল (অধিনায়ক), যশপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধবন, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, বিরাট কোহলী, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আয়ার, বেঙ্কটেশ আয়ার, ঋষভ পন্থ, ঈশান কিশন, যুজবেন্দ্র চহাল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ওয়াশিংটন সুন্দর, ভুবনেশ্বর কুমার, দীপক চাহার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, শার্দূল ঠাকুর এবং মহম্মদ সিরাজ।