উল্লাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের ছবি: পিটিআই।
মাত্র ৫.৫ ওভার বল করেই গোড়ালির চোটে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় যশপ্রীত বুমরাকে। দিনের শেষ দিকে ফের বল করতে এলেও নিজের ১০০ শতাংশ দিতে পারছিলেন না তিনি। ফলে ভারতীয় বোলিংয়ের দায়িত্ব একাই নিজের কাঁধে তুলে নিলেন মহম্মদ শামি। ৫ উইকেট নিলেন তিনি। সেই সঙ্গে টেস্টে ২০০ উইকেট হল তাঁর। পঞ্চম ভারতীয় পেসার হিসেবে এই রেকর্ড করলেন শামি। তাঁর দাপটে তৃতীয় দিনের শেষে ব্যাকফুটে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতের করা ৩২৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই বুমরার বলে অধিনায়ক ডিন এলগারের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এক ওপেনার মার্করাম, তিনে নামা পিটারসন ও চারে নামা ভ্যান ডার ডুসেনও রান পাননি। মাত্র ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম বলেই স্লিপে লোকেশ রাহুল প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ডিককের ক্যাচ না ফেললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত।
চার উইকেট পড়ার পরে জুটি বাঁধেন বাভুমা ও ডিকক। দু’জনের মধ্য অর্ধশতরানের জুটি হয়। ৩৪ রানের মাথায় ডিকককে আউট করেন শার্দুল। ৫২ করে শামির বলে আউট হন বাভুমা। শেষ দিকে জানসেন, রাবাডারা কিছু রান করেন। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৯৭ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ১৩০ রানের লিড পায় ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের রান ১ উইকেটে ১৬। ৪ রান করে আউট ময়াঙ্ক আগরওয়াল। তৃতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে ১৪৬ রানে।
তৃতীয় দিন সকালে ধস নামে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে। সৌজন্যে লুঙ্গি এনগিডি। তিনি একাই ৬ উইকেট নিলেন। কাগিসো রাবাডা নিলেন ৩ উইকেট। শুরুটা হয় লোকেশ রাহুলকে দিয়ে। রাবাডার হলে ১২৩ রানের মাথায় আউট হন তিনি। আগের দিনের রানের সঙ্গে মাত্র এক রান যোগ করেন। দিনের চতুর্থ ওভারে আউট হন তিনি।
এর পর আউট হন অজিঙ্ক রহাণে। ৪০ রানে অপরাজিত থাকা রহাণে অর্ধশতরান পেলেন না। ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে ফেরেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রাবাডার বল লেগের দিকে খেলতে গিয়ে শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৯৯তম ওভারে ফেরেন ঋষভ পন্থ। তাঁর শরীর লক্ষ্য করে বল করেন এনগিডি। পন্থের ব্যাটের ভিতরের দিকে লেগে বল প্যাডে লাগে। সেখান থেকে শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ যায়। বাকিরা আয়ারাম-গয়ারাম। শেষ উইকেটে যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ কিছু রান যোগ না করলে আরও আগে শেষ হত ইনিংস।