ভাল বল করলেন রাবাডারা ছবি: রয়টার্স।
মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে সম্পূর্ণ বদলে গেল ছবিটা। প্রথম দিন যেখানে ভারতীয় ব্যাটারদের আউট করতে কালঘাম ছুটছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের, সেখানে তৃতীয় দিন মাত্র ১৫ ওভার ৩ বল লাগল ভারতের বাকি সাত উইকেট ফেলতে। সেঞ্চুরিয়নে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ভারতীয় ব্যাটিং। ৩২৭ রানে অলআউট হয়ে গেলেন বিরাট কোহলীরা।
সৌজন্যে লুঙ্গি এনগিডি। তিনি একাই ৬ উইকেট নিলেন। কাগিসো রাবাডা নিলেন ৩ উইকেট। তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই আঁটোসাটো বল করতে থাকেন এনগিডি ও রাবাডা। অবশ্য আউট হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যাটারদের অবদানও কিছু কম নয়। খারাপ শট খেলে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন তাঁরা।
শুরুটা হয় লোকেশ রাহুলকে দিয়ে। রাবাডার হলে ১২৩ রানের মাথায় আউট হন তিনি। আগের দিনের রানের সঙ্গে মাত্র এক রান যোগ করেন। দিনের চতুর্থ ওভারে আউট হন তিনি। লেগ স্টাম্পের দিকে যাওয়া বুকের উচ্চতার একটি বল হুক করতে যান রাহুল। ঠিক মতো পারেননি। বল উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডিককের হাতে জমা পড়ে।
এর পর আউট হন অজিঙ্ক রহাণে। ৪০ রানে অপরাজিত থাকা রহাণে অর্ধশতরান পেলেন না। ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাঁর উইকেটটি নেন এনগিডি। তাঁর বলের অতিরিক্ত বাউন্সে ঠকে যান রহাণে। তিনিও উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৯৭তম ওভারে উইকেটটি পড়ে। এই সময় থেকে ভারত পরের পাঁচ ওভারের প্রতিটিতে একটি করে উইকেট হারায়।
পরের ওভারে ফেরেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রাবাডার বল লেগের দিকে খেলতে গিয়ে শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৯৯তম ওভারে ফেরেন ঋষভ পন্থ। তাঁর শরীর লক্ষ্য করে বল করেন এনগিডি। পন্থের ব্যাটের ভিতরের দিকে লেগে বল প্যাডে লাগে। সেখান থেকে শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ যায়।
বাকিরা আয়ারাম-গয়ারাম। শেষ উইকেটে যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ কিছু রান যোগ না করলে আরও আগে শেষ হত ইনিংস।