উইকেট নেওয়ার পর শামি এবং রোহিতের উচ্ছ্বাস। ছবি: বিসিসিআই
দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচ: নিউ জ়িল্যান্ড ১০৮/১০ (মহম্মদ শামি ৩ উইকেট)/ ভারত ১১১/২ (রোহিত শর্মা ৫১ রান) | ভারত জয়ী ৮ উইকেটে
রায়পুরে প্রথম এক দিনের ম্যাচ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল মাঠভর্তি দর্শক। কিন্তু একটা আফসোস তাদের থাকতেই পারে। এক দিনের ক্রিকেট প্রথম বার হচ্ছে রায়পুরে। সেই ম্যাচ দেখতে উৎসাহ ছিল। ভারত বনাম নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচটি যদিও একপেশে ভাবেই শেষ হল। প্রথমে বল হাতে মহম্মদ শামিরা কিউই ব্যাটারদের উপর রোলার চালিয়ে দেন। মাত্র ১০৮ রানে শেষ হয়ে যায় নিউ জ়িল্যান্ডের ইনিংস। ২০.১ ওভারে জয়ের রান তুলে নেন রোহিত শর্মারা। এক দিনের সিরিজ় জিতে নিল ভারত।
রায়পুরে প্রথম এক দিনের ম্যাচ নিয়ে উৎসাহ এতটাই ছিল যে টিকিট ব্ল্যাক করছিলেন অনেকে। এমন ন’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রায়পুরের শহিদ বীর নারায়ণ সিংহ স্টেডিয়াম দেশের ৫০তম স্টেডিয়াম, যেখানে আয়োজিত হল এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। মাঠভর্তি দর্শক দেখল টস করতে এসে রোহিত ভুলেই গেলেন তিনি কী নেবেন? ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘দলের মধ্যে টস নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছিল। তাই কী ঠিক করেছিলাম সেটা মনে করতে পারছিলাম না। আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছি। তাই এই ম্যাচে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিলাম।’’
রায়পুরের সবুজ পিচে শুরু থেকেই সুইংয়ের দাপট দেখান পেসাররা। নতুন সাদা বলের সুইং যদিও খুব বেশি ওভার থাকে না। ভারতীয় বোলাররা সেই সময়টাই দেননি নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারদের। ১৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারান ফিন অ্যালেনরা। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউ ১০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। হার্দিক নিজের বলে নিজেই একটি দুরন্ত ক্যাচ নেন, তাতেই সাজঘরে ডেভন কনওয়ে। ১৫ রানে ৫ উইকেট চলে যাওয়ার পর কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন গত ম্যাচে শতরান করা মাইকেল ব্রেসওয়েল এবং গ্লেন ফিলিপ্স। কিন্তু মাত্র ২২ রান করেই এই ম্যাচে থামতে হয় ব্রেসওয়েলকে। শামির বলে উইকেটরক্ষক ঈশান কিশনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ফিলিপ্স করেন ৩৬ রান।
মিচেল স্যান্টনার করেন ২৭ রান। তাঁকে ফেরান হার্দিক। ভারতীয় অলরাউন্ডার এখন নিয়মিত বল করছেন। ইনিংসের মাঝে হার্দিক বলেন, “এক দিনের ক্রিকেটে নিয়মিত বল করছি। যত বেশি ম্যাচ খেলছি, শরীর তত ফিট হচ্ছে। ঠিক সময়ে এটা হচ্ছে। আমরা এই ম্যাচে বল করার সময় একাধিক কিছু চেষ্টা করিনি। জায়গায় বল করছিলাম। এটা এমন একটা দিন যখন ফিল্ডাররা সব কিছু ধরছিল। বল ফিল্ডারদের হাতে যাচ্ছিল। এটা মাত্র ১০৮ রান করার উইকেট নয়। কিন্তু সব বল ফিল্ডারদের হাতে জমা পড়ছিল।”
ব্যাট হাতে ৫০ ওভারে মাত্র ১০৯ রানের লক্ষ্য ছিল। যে রান ২০.১ ওভারেই তুলে নেয় ভারত। রোহিত ৫১ রান করেন। গত ম্যাচে দ্বিশতরান করা শুভমন গিল ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। সহজ ম্যাচেও বিরাট কোহলি ১১ রান করে আউট। ঈশান কিশন ৮ রান করে অপরাজিত। মিচেল স্যান্টনারের বলে স্টাম্পড হন বিরাট। পর পর দু’ম্যাচে অল্প রানে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচে দু’টি শতরান করা বিরাট এক দিনের ক্রিকেটে ক্রমতালিকায় এক নম্বরে থাকা কিউইদের বিরুদ্ধে এখনও নিষ্প্রভ। ম্যাচে যদিও বিরাটের রান পাওয়া কোনও প্রভাব ফেলেনি। শামিরাই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ম্যাচের সেরাও বাংলার পেসার।