পন্থের গ্যারাজে রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। ফাইল ছবি।
ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঋষভ পন্থ। অনেক ক্রিকেটারের মতোই দামি গাড়ির শখ রয়েছে পন্থের। তাঁর গ্যারাজে থাকা অধিকাংশ গাড়িই কয়েক সেকেন্ডে তুলতে পারে গতির ঝড়।
হুন্ডাই আই ২০
২৫ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের গ্যারাজের প্রথম সদস্য হুন্ডাই আই ২০। মধ্যবিত্তের নাগালের এই গাড়িটি পন্থের প্রথম গাড়ি। এই গাড়িটির প্রতি আলাদা ভালবাসা রয়েছে তাঁর। পন্থ হয়ে ওঠার আগে ঋষভের স্বপ্ন ছিল একটি হুন্ডাই আই ২০ গাড়ি কেনার। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর প্রথমেই এই গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। এখন খুব বেশি ব্যবহার না করলেও যত্ন করে রেখে দিয়েছেন গাড়িটি। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এই গাড়ি।
অডি এ৮
তরুণ ক্রিকেটারের গ্যারেজে রয়েছে কয়েকটি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল গাড়ি। তার মধ্যে অন্যতম অডি এ৮। প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার এই গাড়িটি পন্থের বিশেষ পছন্দের। মাত্র ৯ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারে জার্মান সংস্থার তৈরি এই গাড়ি। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে অডি এ৮।
মার্সিডিজ বেঞ্জ জিএলসি
পন্থের সংগ্রহে রয়েছে মার্সিডিজ বেঞ্জ জিএলসি এসইউভি। এই গাড়িটির দাম অন্তত ৬০ লাখ টাকা। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে গাড়িটি। ৮ সেকেন্ডের মধ্যে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে পারে এই গাড়ি।
মার্সিডিজ বেঞ্জ সি ক্লাস
পন্থের গ্যারাজে রয়েছে মার্সিডিজ বেঞ্জ সি ক্লাস। এই গাড়িটির দামও কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকার মতো। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে গাড়িটি। শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে ৮ সেকেন্ড মতো সময় লাগে এই গাড়ির।
ফোর্ড মুস্তাং জিটি
পন্থের গ্যারাজে রয়েছে আরও একটি বিলাসবহুল গাড়ি। ৭৫ লাখ টাকার ফোর্ড মুস্তাং জিটি। এই গাড়িটিও ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। মাত্র ৪.৩ সেকেন্ডের শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে এই গাড়ি।
গাড়ির সংগ্রহ থেকে আন্দাজ করা যায় গতি পছন্দ করেন পন্থ। দুর্ঘটনার রাতেও দিল্লি থেকে রুরকির পথে তীব্র গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তরুণ ক্রিকেটার। ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পর আগুন ধরে গিয়েছিল গাড়িটিতে। গতির নেশাই কি তবে পন্থের ক্রিকেট জীবনের সামনে বড় প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে? প্রশ্ন উঠছে। ঠিক কারণে পন্থের গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়েছিল তা জানানো হয়নি। পুলিশকে পন্থ জানিয়েছিলেন ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান। আবার অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, ভাঙা রাস্তার জন্যই পন্থের গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ যাই হোক, রাতের ফাঁকা রাস্তায় যথেষ্ট বেশি গতিতেই সে দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন পন্থ। দুর্ঘটনার অভিঘাত অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে।