ভারতীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারতের। ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ইতিমধ্যেই ২-০ এগিয়ে গেল ভারত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে টানা ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেও নিল তারা।
টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ঋষভ পন্থ। নতুন ওপেনিং জুটিতে দ্রুত রান তুলতে থাকে ভারত। পঞ্চম ওভারে রোহিতকে হারায় ভারত। ৩১ রান করে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। সপ্তম ওভারে পর পর দুই বলে ফিরে যান বিরাট কোহলী (১) এবং ঋষভ পন্থ (২৬)। তিন জনকেই ফেরান অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা রিচার্ড গ্লিসন।
উইকেট হারালেও ভারত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকে। সূর্যকুমার যাদব (১৫) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (১২) কম রানে ফিরে গেলেও কখনও রানের গতি কমতে দেননি। ভারতকে লড়াই করার মতো রানে পৌঁছে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। ২৯ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দীনেশ কার্তিক ১৭ বলে ১২ রান করেন। হর্ষল পটেল ৬ বলে ১৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে চার উইকেট নেন ক্রিস জর্ডন।
ভারত ১৭০ রান তুললেও বার্মিংহামের মাঠে তা নিশ্চিন্ত স্কোর বলা যাচ্ছিল না। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সামনে ১৭০ রানও বিরাট বড় হয়ে ওঠে। সুইংয়ের দাপট দেখান ভুবনেশ্বর কুমার। ম্যাচের সেরাও হন তিনিই। প্রথম বলেই জেসন রয়ের উইকেট তুলে নেন ভুবনেশ্বর। জস বাটলারকেও (৪) ফিরিয়ে দেন তিনি। তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর।
যশপ্রীত বুমরা নেন দু’উইকেট। যুজবেন্দ্র চহালও দু’উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য এবং হর্ষল পটেল। ইংল্যান্ডের হয়ে মইন আলি ৩৫ রান করেন। ৩৩ রান করেন ডেভিড উইলি। ৪৯ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড। নটিংহ্যামে রবিবারের ম্যাচের আগেই সিরিজ জিতে নিল ভারত। শেষ ম্যাচে ফের দলে পরীক্ষানিরীক্ষা করার সুযোগ পাবেন রাহুল দ্রাবিড়রা।