বাংলাদেশের ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পরে উচ্ছ্বাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ছবি: বিসিসিআই
প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ যে ভাবে ব্যাট করেছিল তাতে দেখে মনে হয়েছিল চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে তারা। কিন্তু চট্টগ্রামের উইকেটে চতুর্থ সেশনে প্রতিরোধ গড়লেন শাকিবরা। উইকেট কামড়ে পড়ে থাকলেন ব্যাটাররা। সেই সঙ্গে উইকেট আরও মন্থর হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হল ভারতীয় বোলারদের। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের জিততে দরকার আর ৪ উইকেট। অন্য দিকে বাংলাদেশের জিততে দরকার ২৪১ রান। তাদের পক্ষে সুখবর। ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক শাকিব আল হাসান ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে ৫১৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারত। জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ছিল বিনা উইকেটে ৪২। ম্যাচ জিততে দরকার ছিল ৪৭১ রান। চতুর্থ দিন ২৩০ রান করল বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান ভাল খেললেন। দুই তরুণকে দেখে মনে হয়নি যে ভারতের বোলিং আক্রমণ তাঁদের সমস্যায় ফেলছে।
ভারতের হয়ে প্রথম উইকেট নেন উমেশ যাদব। ৬৭ রান করে তাঁর বলে আউট হন শান্ত। তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলি রান পাননি। ৫ রান করে অক্ষর পটেলের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। লিটন দাস জুটি বাঁধেন জাকিরের সঙ্গে। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৯ রান করে কুলদীপের বলে আউট হয়ে যান লিটন।
জাকির ভাল খেলছিলেন। শতরান করেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তাঁর জুটি দলকে আশা জোগাচ্ছিল। কিন্তু শতরান করেই অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান জাকির। বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দিনের শেষ দিকে মুশফিকুর ও নুরুল হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ২৭২। ৪০ রান করে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক শাকিব। ৯ রান করে ব্যাট করছেন মেহেদি। বাংলাদেশকে বৈতরণী পার করাতে পারেন এই দু’জনই। তবে এখনও ২৪১ রান করতে হবে তাদের। তাই বলা যেতে পারে, জেতার সুযোগ বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি ভারতের।