অভিমন্যু ঈশ্বরন না থাকায় বাংলাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ। —ফাইল চিত্র
এ বারের মরসুম শেষ হলেই ব্যাট তুলে রাখবেন মনোজ তিওয়ারি। রাজ্যের ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী চান বাংলার হয়ে রঞ্জি জিতে তাঁর কেরিয়ার শেষ করতে। ২২ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে রঞ্জি ফাইনাল খেললেও ট্রফি জেতা হয়নি। ভারতের হয়ে শতরান করলেও বাংলার হয়ে রঞ্জি জেতার খিদে তাঁর কমেনি। এই মরসুমে তাই বাংলাকে ট্রফি জিতিয়েই থামতে চান মনোজ।
এ বারের রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলা। উত্তরপ্রদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শুরু করেছে মনোজের দল। অভিমন্যু ঈশ্বরন না থাকায় বাংলাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ। ২০০৪ সালে বাংলার হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। ২০০৮ সালে ভারতের হয়েও খেলেছিলেন তিনি। শুক্রবার মনোজ বলেন, “দারুণ একটা সফর। বাংলার জার্সি পরতে পারা সব সময়ই গর্বের। এ বছর বাংলার জন্য বিশেষ কিছু করতে চাই। সেটা অবশ্যই রঞ্জি ট্রফি জয়। তার পর কেরিয়ার শেষ করব।”
গত মরসুমে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোজ বলেছিলেন, “বাংলার হয়ে রঞ্জি জিততে চাই। ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে এটাই আমার স্বপ্ন। ভারতীয় দলে ফেরার কোনও রাস্তা নেই আমার। তাই রঞ্জি জিতে ক্রিকেটজীবন শেষ করতে চাই।” গত বছর সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল বাংলা। মনোজ আরও এক বার তৈরি হয়েছিলেন রঞ্জি জেতার লক্ষ্যে। ৩৭ বছরের মনোজের হাঁটুতে চোট ছিল। বয়স যে ছাপ ফেলছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর এক সময়ের সতীর্থ এবং এখন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লও। তিনি বলেন, “আমরা জানি মনোজ এখন আগের মতো ফিট নয়। ওর হাঁটু আগের মতো নয়। শুধু মনের জোর দিয়ে খেলে যাচ্ছে ও। এটা তরুণ ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে।”
ভারতের জার্সিতে ১২টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মনোজ। একটি শতরান-সহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর সংগ্রহ ৩০২ রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৮ হাজারের উপর রান করে ফেলা মনোজের ৩৫টি শতরানও রয়েছে। বল হাতে ১২৯টি উইকেটও নিয়েছেন মনোজ। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক দলের প্রয়োজনে সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। এই মরসুমের পর হয়তো তাঁকে আর দেখা যাবে না বাংলার জার্সিতে।