অ্যালেক্স হেলসের মতো বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার থাকলেও এমনই লজ্জার মুখে পড়তে হল সিডনিকে। ছবি: টুইটার
৩৫ বল। ১৫ রান। ১০ উইকেট। বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডার দলের ইনিংস শেষ। শুক্রবার এমন কাণ্ডই ঘটল সিডনির মাঠে। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারসদের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে ইনিংস শেষ হয়ে গেল সিডনির। উঠল মাত্র ১৫ রান। পড়ে গেল ১০ উইকেট। দলে অ্যালেক্স হেলসের মতো বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার থাকলেও এমনই লজ্জার মুখে পড়তে হল সিডনিকে।
প্রথমে ব্যাট করে ১৩৯ রান তুলেছিল অ্যাডিলেড। ২০ ওভারে যা বড় কোনও রান নয়। কিন্তু সিডনি যে ১৫ রানে শেষ হয়ে যাবে তা কে ভেবেছিল। সিডনি দলের ব্যাটারদের রানগুলো পর পর সাজালে ফোন নম্বর মনে হতে পারে। সব চেয়ে বেশি রান করেছেন ব্রেন্ডান ডোগেট (৪)। কিন্তু সিডনিকে এই লজ্জার মুখে ফেলার পিছনে রয়েছেন দু’জন ডানহাতি পেসার। হেনরি থর্নটন এবং ওয়েস আগার। থর্নটন নিয়েছেন ৫ উইকেট। আগার ৪টি। বাকি একটি উইকেট নেন ম্যাথু শর্ট। ওপেনার ম্যাথু গিক্সকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুটা যদিও তিনিই করেছিলেন।
থর্নটন এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেননি। আগার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র দু’টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। এমনই ‘অনামি’ বোলারদের দাপট দেখল সিডনি। ওয়েস আগার সে ভাবে পরিচিত না হলেও তাঁর দাদা অ্যাশটন আগার দেশের হয়ে টেস্টও খেলেছেন। তিনি স্পিনার। ওয়েস আগার যদিও তাঁর বাবার মতো পেসারই হয়েছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ ওয়েস আগার। তাঁর আরও এক দাদা উইল বাঁহাতি ব্যাটার।
থর্নটন ৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে এই ম্যাচের সেরা হয়েছেন। ১২৪ রানে ম্যাচ জিতেছে অ্যাডিলেড। চেক প্রজাতন্ত্র বিরুদ্ধে ২১ রানে অলআউট হয়েছিল তুরস্ক। তার থেকেও কম রানে শেষ হয়ে গেল সিডনি থান্ডার।