Virat Kohli

দ্রাবিড়-কোহলির দেদার আড্ডা! কোথায় ভুল হচ্ছিল, কোচকে একা পেয়ে খুল্লমখুল্লা বিরাট

সোমবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কোহলির সঙ্গে দ্রাবিড়ের কথা হয়। কোহলি জানান, এক জন খেলোয়াড়ের মানসিকতা কেমন হওয়া উচিত। ক্রিকেটার হিসাবে তিনি কী পছন্দ করেন, কী অপছন্দ করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৯
Share:

কোচ দ্রাবিড়ের কাছে নিজের ভুলের কথা বললেন কোহলি। ছবি: টুইটার।

দীর্ঘ দিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ভাল রান করেছেন বিরাট কোহলি। আমদাবাদে রান পেয়ে তিনি সন্তুষ্ট। খুশি ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও। দু’জনের কথায় উঠে এল, এক জন আদর্শ খেলোয়াড়ের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত দলের জন্য।

Advertisement

কোহলি এবং দ্রাবিড়ের আড্ডার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কোচের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের ব্যর্থতার কথা বলেছেন কোহলি। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘নিজের কিছু ভুলের জন্যই জটিলতা বাড়িয়েছিলাম। তিন অঙ্কের রান পাওয়ার জন্য মরিয়া ভাব এক জন ব্যাটারকে পরিপূর্ণতা পেতে সাহায্য করে। বিষয়টা বুঝতে পারছিলাম কিছু দিন ধরে। এটার অন্য দিকও রয়েছে। ৪০-৪৫ রান করে খুশি হওয়ার মতো ছেলে আমি নই। এ রকম রান আমাকে কখনও খুশি করে না। দলের জন্য পারফর্ম করতে পারলে গর্বিত হই। বিরাট কোহলিকে আলাদা ভাবে দেখা ঠিক নয়।’’

কোহলি বোঝাতে চেয়েছেন, যত বেশি সম্ভব রান করে দলকে সাহায্য করতে চান। বেশি ক্ষণ উইকেটে থাকতে চান। ৪০ রান করার থেকে ১০০ বা ১৫০ রান করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে। কোচের সঙ্গে কথা বলার সময় কোহলি আরও বলেছেন, ‘‘কখনও খারাপ শট খেলতে চাই না। দলের প্রয়োজনের সময় আউট হওয়াও অপছন্দ করি। সব সময় ভাবি দলকে কী ভাবে সাহায্য করতে পারি। সাহায্য করার উপায় খুঁজে বের করি। আমি কী চাইছি সেটার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দল আমার কাছে কী চাইছে।’’

Advertisement

কোহলি জানিয়েছেন মাইলফলক লক্ষ্য রেখে খেলেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘শতরান খেলতে খেলতেই আসে। শতরান করতে পারলে দল উপকৃত হয়। সেটার জন্য চেষ্টা করি। ব্যক্তিগত মাইলফলক নিয়ে কখনও ভাবি না। সব সময় শতরান করার কথা ভাবি। সবাই শতরান করার লক্ষ্য নিয়েই খেলে। নিষ্ঠুর মনে হলেও এটাই সত্যি।’’

দু’জনের কথায় উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ১৮৬ রানের ইনিংসের প্রসঙ্গ। দ্রাবিড়কে কোহলি বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচের মতো রান করতে পারলে বেশ হালকা লাগে। খেলাটা আরও বেশি উপভোগ করতে পারি। বেশ উত্তেজিত থাকি ফলের জন্য। সঠিক সময়ে বড় রান করতে পেরেছি। তাই আমি খুশি। কারণ এর পরেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রয়েছে। ম্যাচটা অনেক চাপমুক্ত ভাবে খেলতে পারব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement