নায়ক: টাইব্রেকারে জয়ের পরে সতীর্থদের কোলে বিশাল। সোমবার যুবভারতীতে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে টাইব্রেকার শুরু হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্ত। গোলপোস্টের পিছনের গ্যালারিতে দ্বিতীয়তলা থেকে এটিকে-মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইতের ছবি দেওয়া বিশাল ব্যানার ঝুলিয়ে দিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। নীচে লেখা ছিল ‘আওয়ার ফ্লাইং কাইট’ (আমাদের উড়ন্ত ঘুড়ি)!
টাইব্রেকারে হায়দরাবাদের হাভিয়ের সিভেরিয়োর শটটা যেন ঘুড়ির মতোই উড়ে গিয়ে আটকালেন বিশাল। সেই সঙ্গে চিড় ধরিয়ে দিলেন বিপক্ষের ফুটবলারদের মনোবলেও। তা না হলে ওগবেচের মতো ভয়ঙ্কয় স্ট্রাইকার বল পোস্টে মারেন! অমরিন্দর সিংহকে ছেড়ে চেন্নাইয়িন এফসি থেকে এই মরসুমে তাঁকে সই করিয়ে যে ভুল করেননি এটিকে-মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো, আরও একবার প্রমাণ করলেন বিশাল।
ইতিমধ্যেই চলতি আইএসএলে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন বিশাল। সোমবার যুবভারতীতে প্রায় ৫৩ হাজার দর্শকের সামনে তাঁর দু’হাতই মোহনবাগানকে আইএসএলের ফাইনালে তুলল। সাংবাদিক বৈঠকে আপ্লুত বিশাল বললেন, ‘‘এই ব্যানার আমিও দেখেছি। সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’
টাইব্রেকারের হওয়ার আগে গোলরক্ষক কোচ আঙ্খেল পিনদাদোর সঙ্গে কথা বলছিলেন বিশাল। সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগানের নায়ক বললেন, ‘‘হায়দরাবাদের কোন ফুটবলার কী ভাবে পেনাল্টি মারে, তার যাবতীয় তথ্য গোলরক্ষক কোচের কাছে রয়েছে। ওঁর পরামর্শেই টাইব্রেকারে কাজটা সহজ হয়ে যায়।’’
হিমাচল প্রদেশের শিমলা জেলার রোহরুর ২৬ বছর বয়সি বিশালের ভারতীয় ফুটবলে উত্থান সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এলিট অ্যাকাডেমি থেকে। লাজং এফসি, পুণে সিটি এফসি ও চেন্নাইয়িন এফসির হয়ে খেলে যোগ দিয়েছেন সবুজ-মেরুন। বিশালের আদর্শ ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এদেরসন, গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু ও অমরিন্দর সিংহ।
আগামী শনিবার গোয়ায় আইএসএলের ফাইনালে নামার আগে বেঙ্গালুরু এফসির গোলরক্ষকের কাছে কী পরামর্শ চাইবেন? হাসতে হাসতে বিশাল বললেন, ‘‘ফাইনালের আগে আর কী পরামর্শ নেব। এখন তো মরণ-বাঁচন লড়াই।’’