দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে উইকেটে দাঁড়াতেই পারলেন না রোহিতরা। ফাইল ছবি।
পুরনো রোগ ফিরে এল ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ে। বল একটু সুইং করতেই ভেঙে পড়ল রোহিত শর্মাদের ব্যাটিং। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে মাত্র ১১৭ রানেই শেষ হয়ে গেল ভারতের ইনিংস।
গত কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে বিশাখাপত্তনমে। রবিবারও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। সমুদ্রের পাশের শহরে বইছিল হালকা ঠান্ডা বাতাসও। জোরে বোলিংয়ের আদর্শ পরিবেশ পেয়ে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিতে দু’বার ভাবেননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তাঁর সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল তা প্রথম ওভারেই বুঝিয়ে দিলেন মিচেল স্টার্ক। তৃতীয় বলেই আউট করলেন শুভমন গিলকে (শূন্য)। প্রথম ধাক্কা সামলে দলকে লড়াইয়ের ফেরানোর চেষ্টা করলেন রোহিত এবং বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলীয় বোলারদের চাপে রাখতে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু উইকেট থেকে অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হলেন রোহিত (১৩)। ভারত অধিনায়কের উইকেট পেয়ে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠলেন স্টার্ক। বাঁহাতি জোরে বোলার পরের বলেই সাজঘরে ফিরিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদবকে (শূন্য)। পর পর দু’টি এক দিনের ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। স্টার্কের হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করে দিলেন লোকেশ রাহুল। মুম্বইয়ে ম্যাচ জেতানো রাহুলও (৯) দলের ইনিংসের হাল ধরতে পারলেন না। তিনিও স্টার্কের শিকার।
ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের মাথা কেটে দিয়ে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দিলেন স্টার্ক। কোণঠাসা ভারতীয় দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। দ্রুত আউট হলেন প্রথম ম্যাচের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যও (১)। তাঁকে আউট করলেন সন অ্যাবট। উইকেটের অন্য প্রান্তে তখন সঙ্গীর অভাবে অসহায় কোহলি (৩১) আউট হয়ে গেলেন নাথান এলিসের বলে। দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর পটেল। চাপের মুখে জাডেজা ১৬ রান করতে নিলেন ৩৯ বল। তিনিও এলিসের শিকার। অক্ষর শেষ পর্যন্ত ২৯ রান (১টি চার, ২টি ছয়) করে অপরাজিত থাকলেও বিশেষ লাভ হল না। কারণ উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়াতেই পারলেন না কুলদীপ যাদব (৪), মহম্মদ শামি (শূন্য) এবং মহম্মদ সিরাজ (শূন্য)। কুলদীপ, শামিকে পর পর দু’বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাবটও। সিরাজ কোনও রকমে তা ঠেকিয়ে দেন। তাতে অবশ্য দলের লজ্জা ঢাকল না।
৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার স্টার্ক। ২৩ রানে ৩ উইকেট নিলেন অ্যাবট। ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট এলিসের।