ভারত হারলেও লড়াই করলেন মিতালিরা। আর সেখানে সব থেকে উজ্জ্বল নাম হরমনপ্রীত। কী করলেন না তিনি। ব্যাট হাতে ৪৮ রান করার পরে বল হাতে নিলেন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ব্যাটার লরা উলভার্টকে আউট করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনিই। সেই সঙ্গে দু’টি রানআউট করেন। একটি ভাল ক্যাচ ধরেন। কিন্তু এত লড়াইয়ের পরেও হারল দল।
হতাশ মিতালি ছবি: টুইটার।
তীরে এসে তরী ডুবল। দক্ষিণ আফ্রিকার হাতের মধ্যে থাকা ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিলেন ভারতের হরমনপ্রীত কউর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেন মিতালি রাজরা।
ভারত হারলেও লড়াই করলেন মিতালিরা। আর সেখানে সব থেকে উজ্জ্বল নাম হরমনপ্রীত। কী করলেন না তিনি। ব্যাট হাতে ৪৮ রান করার পরে বল হাতে নিলেন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ব্যাটার লরা উলভার্টকে আউট করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনিই। সেই সঙ্গে দু’টি রানআউট করেন। একটি ভাল ক্যাচ ধরেন। কিন্তু এত লড়াইয়ের পরেও হারল দল।
২ বলে ৩ রান করতে হত দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই সময় দীপ্তি শর্মার বলে ডুপ্রিজের শট লং অনে জমা পড়ে হরমনপ্রীতের হাতে। কিন্তু আম্পায়ার নো বল ডাকেন। ধারাভাষ্যকাররা বলেন, খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার। শেষ বলে ১ রান দরকার ছিল। ডুপ্রিজ মিড উইকেট অঞ্চলে মেরে দলকে জিতিয়ে দেন। এই হারের পরে প্রশ্ন উঠেছে মিতালির অধিনায়কত্ব নিয়েও। হরমনপ্রীত এত ভাল বল করা স্বত্বেও তাঁর দু’ওভার রেখে দিলেন তিনি। বল করালেন রাজেশ্বরী গায়গোয়াড়কে দিয়ে। এক ওভারে তিনটি চার দেন রাজেশ্বরী। সেখানেই কিন্তু খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে ঝুঁকে যায়।
ভারতের করা ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ভাল খেলেন উলভার্ট। ৮০ রান করেন তিনি। লারা গুডল ৪৯ ও শেষ দিকে ডুপ্রিজ ৫২ রান করেন। বিশ্বকাপে ভারতের মেয়েদের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তা়ড়া করে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভাল করেন ভারতের দুই ওপেনার শেফালি বর্মা ও স্মৃতি মন্ধানা। দ্রুত রান তোলেন তাঁরা। শেফালি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ৮টি চার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৬৩ রান করে স্মৃতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ফলে রানআউট হন তিনি। মেয়েদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় কণিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে অর্ধশতরান করেন শেফালি। ৯১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
তিন নম্বরে নেমে যস্তিকা রান পাননি। কিন্তু স্মৃতির সঙ্গে জুটি বাঁধেন মিতালি। শেফালি আউট হওয়ার পরে বড় শট খেলা শুরু করেন স্মৃতি। দু’জনে মিলে ৮০ রান যোগ করেন। অর্ধশতরান এল দু’জনের ব্যাট থেকেই। দেখে মনে হচ্ছিল ৩০০ রান করে ফেলবে ভারত। কিন্তু ৭১ রানের মাথায় স্মৃতি ও ৬৮ রান করে মিতালি আউট হওয়ায় কিছুটা খেই হারায় ভারত। শেষ দিকে হরমনপ্রীত দলের রানকে টেনে নিয়ে গেলেন। তিনি করেন ৪৮। বাকিরা কেউ রান পাননি। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করে ভারত।