সোমবার অনুশীলনে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। ছবি: রয়টার্স
পিচ পুরোপুরি ঢাকা সবুজ ঘাসে। আউটফিল্ডের থেকে তা আলাদা করা যাচ্ছে না। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ দীনেশ কার্তিক সেই ছবি পোস্ট করামাত্রই বুক দুরুদুরু করতে শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের। বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ কি সামলাতে পারবে ভারত? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
ভারতীয় শিবিরেও চিন্তা কম নেই। মিচেল স্টার্ককে নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি শুরু করেছেন রোহিত শর্মারা। ওভালে দ্বিতীয় বার অনুশীলনে নামলেও কেএস ভরত না ঈশান কিশন কে প্রথম একাদশে থাকবেন, তা বোঝা গেল না।
সোমবার সকালে ঠান্ডা এবং মেঘলা আকাশের নীচে অনুশীলন করে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দুপুরে ভারত যখন অনুশীলনে এল তখন আকাশে রোদ। ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও দলের বেশির ভাগ সদস্যই হাজির। উমেশ যাদব, মহম্মদ সিরাজ এবং সূর্যকুমার যাদব ছিলেন না। রোহিত এবং কোহলিকে হাসি-মজায় অনুশীলন করতে দেখা গেল।
আড়াই ঘণ্টার অনুশীলনে রোহিত বাকিদের পর্যবেক্ষণ করলেন। নেটে থ্রোডাউন নেওয়া ছাড়া আর কিছু করেননি। তবে দলের বাকি ব্যাটাররা দীর্ঘ সময় কাটালেন নেটে। স্কট বোল্যান্ড এবং প্যাট কামিন্সের মতো বোলার অস্ট্রেলিয়ার হাতে থাকলেও, সোমবার কোহলিরা ব্যস্ত থাকলেন বাঁ হাতি বোলারদের খেলতে। জয়দেব উনাদকাট, অনিকেত চৌধুরি এবং স্থানীয় এক বোলারের বিরুদ্ধে খেললেন তাঁরা।
সবার আগে অনুশীলনে নামেন চেতেশ্বর পুজারা, অজিঙ্ক রাহানে, শুভমন গিল এবং মহম্মদ শামি। শামি আধ ঘণ্টারও বেশি ব্যাট করলেন। কোহলি শুরুতে স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলার পর শামি এবং উনাদকাটকে খেললেন। রাহানে এবং শুভমন ব্যস্ত থাকলে ক্যাচ অনুশীলন নিয়ে। নেথান লায়নের স্পিনের বিরুদ্ধে দলকে প্রস্তুত করলেন নেট বোলার দিল্লির পুলকিত নারাং।