প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি-আরএসএসের তাত্ত্বিক গুরু বিনায়ক দামোদর সাভরকরের নামে দিল্লিতে এ বার সরকারি কলেজ খুলতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে নামছেন। বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। তার মধ্যে নজফগঢ়ে সাভরকরের নামে কলেজের শিলান্যাস কর্মসূচিও রয়েছে।
এই শিলান্যাসের আগেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, যিনি ব্রিটিশদের সামনে মাথা নত করেছিলেন, তাঁর নামে কলেজ কেন? বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি আসলে উগ্র হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীদের সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। তাই দিল্লির ভোটের মুখে সাভরকরের নামে কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর সভাপতি বরুণ চৌধরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছেন, সাভরকরের নামে কলেজের বদলে সদ্য প্রয়াত মনমোহন সিংহের নামে একটি বিশ্ব মানের কলেজ, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হোক।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, ২০২১-এর অগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী পরিষদই নজফগঢ়ে নতুন কলেজের নাম সাভারকরের নামে রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল। উপাচার্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েরউপাচার্য যোগেশ সিংহের বক্তব্য, শুক্রবার দিল্লির শিক্ষা ক্ষেত্রের জন্য গর্বের দিন হতে যাচ্ছে।
দেশের যে কোনও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী সেই রাজ্যে গিয়েবিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার মোদী দিল্লিতে ঝুপড়িবাসীদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাট উদ্বোধন করবেন। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দু’টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। দিল্লির দ্বারকায় সিবিএসই-র দফতরের উদ্বোধন হবে। তার সঙ্গে সাভারকর কলেজ এবং পূর্ব ও পশ্চিম দিল্লিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের শিলান্যাসও করবেন তিনি। এই সব অনুষ্ঠান শেষ করে মোদী ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লি ভোটের রাজনৈতিক প্রচার শুরু করে দেবেন।
আজ কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীও দিল্লির জন্য ১২,৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, এতে দিল্লিতে যানবাহনের চাপ কমবে। যানজট ও বায়ুদূষণ কমবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহচৌহান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশীকে চিঠি লিখে কেন্দ্রের কৃষি প্রকল্প দিল্লি সরকার রূপায়ণ করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন। অতিশী ও অরবিন্দ কেজরীওয়াল পাল্টা আক্রমণে কৃষিমন্ত্রীকে পঞ্জাব-হরিয়ানার আন্দোলনকারী কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন।