ICC Test Championship

WTC: ১৫ বছর পর ভারত-পাকিস্তান টেস্টের সম্ভাবনা, কী ভাবে সম্ভব

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে রয়েছে ছ’টি দেশ। সবাইকে পিছনে ফেলে ১৫ বছর পর টেস্টে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রোহিত-বাবরদের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ১৪:০১
Share:

বাবর আজম, রোহিত শর্মারা মুখোমুখি হতে পারবেন লর্ডসে? ফাইল ছবি।

২০২৩ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান? পয়েন্ট টেবিলে চোখ রাখলে কঠিন মনে হলেও সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তান এখন রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে।

Advertisement

১২টি টেস্ট খেলে রোহিত শর্মাদের সাফল্যের হার ৫২.০৮ শতাংশ। ভারতের বাকি দু’টি সিরিজ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে সিরিজ।

বাবর আজমের পাকিস্তানকেও খেলতে হবে দু’টি সিরিজ। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাবররা খেলবেন ঘরের মাঠে। নয়টি টেস্টে পাকিস্তানের সাফল্যের হার ৫১.৮৫ শতাংশ। ভারত বাকি থাকা ছ’টি টেস্টেই জয় পেলে রোহিতদের সাফল্যের হার হবে ৬৮.০৮ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে পাঁচটি টেস্টে জিতলেও তাদের ছাপিয়ে যাবে ভারত।

Advertisement

পাকিস্তানের সুবিধা বাকি পাঁচটি টেস্টই খেলবে ঘরের মাঠে। সব ম্যাচ জিতলে বাবরদের সাফল্যের হার হবে ৬৯.০৫ শতাংশ। চারটি ম্যাচে জয় এবং একটি ম্যাচ হারলেও পাকিস্তানের ঝুলিতে ৬১.৯ শতাংশ সাফল্য থাকবে। ফাইনালে যেতে হলে বাকি থাকা সব ম্যাচ জিততে হবে পাকিস্তানকেও।

এই মুহূর্তে ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭টি টেস্ট খেলে তাদের সাফল্যের হার ৭১.৪৩ শতাংশ। তিনটি সিরিজ বাকি তাদের। ঘরের মাঠে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি আটটি টেস্টের ছ’টিই বিদেশের মাটিতে। অ্যাওয়ে দু’টি সিরিজ ১-২ ব্যবধানে হারলে এবং ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হারালে প্রোটিয়াদের সাফল্যের হার হবে ৬০ শতাংশ। বিদেশের একটি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলে এবং অন্যটি ১-২ ফলে হারলে ৬৬.৬৭ শতাংশ হবে তাদের সাফল্যের হার।

১০টি টেস্টে ৭০ শতাংশ সাফল্য নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। অজিদেরও বাকি তিনটি সিরিজ। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার বাকি ন’টি টেস্ট। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও প্যাট কামিন্সদের চারটি টেস্ট খেলতে হবে ভারতের মাটিতে। যা অজিদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাকি ন’টি টেস্টের ছ’টি টেস্টে জয় পেলে এবং তিনটি টেস্ট হারলে অজিদের সাফল্যের হার হবে ৬৮.৪২ শতাংশ।

পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ড্র করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কা। ১০টি টেস্টে দিমুথ তিলকরত্নেদের সাফল্যের হার ৫৩.৩৩ শতাংশ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি অ্যাওয়ে সিরিজ বাকি তাদের।

ষষ্ঠ স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ন’টি টেস্টে সাফল্যের হার ৫০ শতাংশ। তাদের খেলা বাকি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। দু’টি সিরিজই অ্যাওয়ে। সপ্তম স্থানে থাকা ইংল্যান্ড খেলেছে ১৬টি টেস্ট। বেন স্টোকসদের সাফল্যের হার ৩৩.৩৩ শতাংশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এবং পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলতে হবে তাঁদের। গত বারের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড রয়েছে অষ্টম স্থানে। ন’টি টেস্টে কেন উইলিয়ামসনদের সাফল্যের হার ২৫.৯৩। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে তাদের। নবম স্থানে থাকা বাংলাদেশ খেলেছে ১০টি টেস্ট। ১৩.৩৩ শতাংশ সাফল্য শাকিব আল হাসানদের। বাংলাদেশের বাকি শুধু ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ।

চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাকি মোট ন’টি সিরিজ। এই ন’টি সিরিজের ফলাফলের উপরই নির্ভর করবে কোন দু’টি দল মুখোমুখি হবে লর্ডসের ফাইনালে। সুযোগ রয়েছে শ্রীলঙ্কার সামনেও। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টই জিতলে তাদের সাফল্যের হার দাঁড়াবে ৬১.১ শতাংশ। সিরিজের ফল ১-১ হলে শ্রীলঙ্কার সাফল্যের শতকরা হার হবে ৫২.৭৮ শতাংশ। অন্য দিকে ইংল্যান্ড বাকি সব টেস্ট জিতলে সাফল্যের সর্বোচ্চ হার হবে ৫১.৫২ শতাংশ। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে সাফল্যের সর্বোচ্চ হার হতে পারে ৪৮.৭২ শতাংশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৬৫.৩৮ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছনোর সুযোগ থাকলেও তাদের বাকি সব ম্যাচই বিদেশের মাটিতে। যা বেশ কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। নবম স্থানে থাকা বাংলাদেশ এখনই হিসাবের বাইরে।

এই হিসাব বা সম্ভাবনা মতো সবকিছু এগোলে তবেই লর্ডসে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল। বিষয়টা অসম্ভব নয়। কারণ নিজেদের সব ম্যাচ জিতলে অন্য দলের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না রোহিত-বাবরদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement