দীনেশ কার্তিক। ফাইল ছবি
ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই একটা সুনির্দিষ্ট ভূমিকা ঠিক হয়ে গিয়েছে দীনেশ কার্তিকের। তিনি নামবেন পাঁচে বা ছয়ে। রান তাড়া করার সময় দলকে জেতানোর দায়িত্ব নেবেন। আগে ব্যাট করলে, বড় রান তোলার ক্ষেত্রে শেষ দিকে নেমে চালিয়ে খেলে স্কোরবোর্ড সচল রাখবেন। দিনের পর দিন সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজটাই করে চলেছেন কার্তিক। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। রোহিত শর্মা ফেরার পর ভারত এক সময় বিপদে পড়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে দলকে টেনে তোলেন কার্তিক। তাঁর ১৯ বলে অপরাজিত ৪১ দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেয় এবং ভারত শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিও জেতে।
ম্যাচের পর কার্তিক জানিয়েছেন, অধিনায়ক এবং গোটা দলের সমর্থন তাঁর পিছনে থাকার কারণেই এতটা খোলা মনে খেলতে পারছেন। বলেছেন, “উইকেট একটু ভেজা ছিল। ফলে শুরুতে খেলতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। সেট হয়ে যাওয়ার পর উইকেটের গতি বুঝতে পেরে কী ধরনের শট খেলব সেটা ঠিক করে নিয়েছিলাম।”
কার্তিকের সংযোজন, “ফিনিশারের ভূমিকা বেশ উপভোগ করছি। খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সব সময় সাফল্য পাব এমন নয়। তবে কোনও এক দিন ভাল খেলে দিলে দল যদি জিতে যায়, তা হলে ভাল লাগে। অধিনায়ক এবং কোচের সমর্থন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমি ভাল ভাবেই পেয়েছি।”
চাপে পড়লেও শেষের দিকে কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেন দলকে? কার্তিক বলেছেন, “উইকেট কেমন আচরণ করছে সেটা বোঝা খুবই দরকার। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, শেষ তিন-চার ওভারে ব্যাটিং করতে গেলে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হয়। যেমন বলের আকার কেমন, বল নরম আছে কি না, উইকেট কেমন আচরণ করছে। এ সব দেখেশুনে সেই মতো খেলতে হয়। অনুশীলন করলেই এটা সম্ভব।”