চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কি পাকিস্তানেই হবে? ধোঁয়াশা এখনও রয়েছে। —ফাইল চিত্র।
১১ নভেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ফলে পাকিস্তানেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও রয়েছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সে দেশে খেলতে যাবে না। এর মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি প্রোমো প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে আয়োজক দেশ হিসাবে পাকিস্তানের নাম লেখা। তবে কি ভারতের আপত্তির পরেও পাকিস্তানেই হতে চলেছে এই প্রতিযোগিতা?
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যে প্রোমো প্রকাশ করেছে সেখানে পুরুষ ও মহিলাদের প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। পুরুষদের প্রতিযোগিতায় আটটি দল খেলবে। এক দিনের ম্যাচ হবে। মহিলাদের প্রতিযোগিতায় খেলবে ছ’টি দল। সেই প্রতিযোগিতা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সেখানেই দেখানো হয়েছে ২০২৫ সালের পুরুষদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান। তবে কি আইসিসি ঘোষণা করে দিল যে পাকিস্তানেই এই প্রতিযোগিতা হবে? ভারতের আবেদন শুনল না তারা।
তার মধ্যেও একটি সংশয় রয়েছে। কারণ, সেখানে বলা হয়েছে আটটি দেশ খেলবে। ভারত জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানে তারা যাবে না। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানে প্রতিযোগিতা হলে আটটি দেশ কী ভাবে খেলবে। তাই কেউ কেউ মনে করছেন এই প্রোমো আগে তৈরি করা হয়েছিল। সেটাই প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি আরও জটিল। তা সমাধানের চেষ্টা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
আইসিসি পাকিস্তানকে জানিয়েছে যে ভারত সে দেশে খেলতে যেতে চাইছে না। তার পরেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পাল্টা চিঠি লিখেছে আইসিসিকে। তাদের দাবি, পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার কারণ লিখিত আকারে জানাতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। পাকিস্তানের সরকারের কাছেও পরামর্শ চেয়েছিল বোর্ড। শাহবাজ শরিফ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিযোগিতা সরানো তো দূর, একটি ম্যাচও পাকিস্তানের বাইরে যেন না হয়।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, “সরকার আমাদের জানিয়ে দিয়েছে যে একটা ম্যাচও পাকিস্তানের বাইরে হবে না। এই সিদ্ধান্তে আমাদের অনড় থাকতে হবে। আইসিসি আমাদের জানিয়েছে যে ভারত খেলতে আসতে চাইছে না। আমরাও কারণ দেখাতে চিঠি লিখেছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। এই দেশেই খেলা হবে। একটা খেলাও অন্য দেশে হবে না।”
ভারতের অবস্থানে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। সে দেশের আরও এক ক্রিকেট কর্তা বলেন, ‘‘গত এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা আয়োজন করব না আমরা। অনেক আগে থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরাই আয়োজন করব।’’ এই বিষয়ে আইসিসিকে পাল্টা চাপ দেওয়ার রাস্তা বেছে নিয়েছেন পাক ক্রিকেট কর্তারা। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে যাওয়ার পথও খোলা রাখছেন তাঁরা।
বিসিসিআইয়ের বক্তব্য জানার পর আইসিসি কর্তারা ভারতের ম্যাচগুলির জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা হয়নি। তাঁরা আপাতত যুযুধান দু’দেশের বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেলে খেলা হবে না। তার মধ্যেই প্রতিযোগিতার প্রোমো প্রকাশ করে দিয়েছে আইসিসি।