বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন ঝুলন ও রিচা। —ফাইল ছবি
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিততেই হবে ভারতীয় মহিলা দলকে। এমন চাপের মুখেই নিজেদের উজাড় করে দিলেন বাংলার দুই প্রতিনিধি।
ঝুলন গোস্বামী এবং রিচা ঘোষ। বয়স যথাক্রমে ৩৯ বছর ১১৭ দিন এবং ১৮ বছর ১৭৫ দিন। ঝুলন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ সদস্য, ক্রিকেট জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে। রিচা নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধি। ভারতীয় মহিলা দল যাঁদের নিয়ে চলবে আগামী দীর্ঘ পথ, তাঁদের অন্যতম।
বিশ্বকাপে একাধিক নজির গড়লেও ঝুলনের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল কিছু মহল থেকে। বলের গতি, ধার কমেছে। ব্যক্তিগত মাইল ফলকের জন্য খেলে চলেছে। এমন নানা রকম। চাকদহের ঝুলনকে যাঁরা চেনেন তাঁরা জানেন, ঝুলনের কাছে দলই সবার আগে। এবং অধরা বিশ্বকাপ দেশে নিয়ে আসতে তিনি মরিয়া।
আগের ম্যাচেই বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ এক দিনের ম্যাচ খেলার মাইল ফলক স্পর্শ করেছেন। তার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই বল হাতে জ্বলে উঠলেন তিনি। পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ব্যাটারদের কখনই ঝুলনের সামনে স্বচ্ছন্দ দেখায়নি এ দিন। উইকেট বেশি না পেলেও এক দিক থেকে ধারাবাহিক ভাবে চাপ বজায় রেখে গিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের উপর। ঝুলনকে দেখে খেলতে গিয়ে অন্য বোলারদের উইকেট দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তিনি ৭.৩ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন ম্যাচে।
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন শিলিগিড়ির রিচাও। প্রথম ব্যাট হাতে করলেন ২৬ রান। অধিনায়ক মিতালি রাজ এবং হরমনপ্রীত কৌর দ্রুত সাজঘরে ফেরার পরও মাথা ঠান্ডা রেখে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। উইকেটের পিছনেও ছিলেন সাবলীল। উইকেটে জমে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটার সলমা খাতুন তাঁর হাতেই ধরা পড়লেন ঝুলনের বলে। দুই বঙ্গ তনয়ার যুগলবন্দিতে সে সময় সলমাকে সাজঘরে ফেরত পাঠানো না গেলে ভারতের জয় এতটা মসৃণ নাও হতে পারত। কারণ, লতা মণ্ডলকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সলমা।