সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপ এবং কমনওয়েলথ গেমস খেলে ফেলা শেফালি চাইবেন যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেতে। —ফাইল চিত্র
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলের অধিনায়ক শেফালি বর্মা। যিনি রবিবার তাঁর দলকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পোচেফস্ট্রুমের মাঠে নামবেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রথম বার মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছে। সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত এবং ইংল্যান্ড। তা-ও আবার শেফালির জন্মদিনের পরের দিন।
শনিবার ছিল শেফালির জন্মদিন। পরের দিনই বিশ্বকাপের ফাইনাল। যে ম্যাচ জিতলেই ট্রফি হাতের মুঠোয়। সতীর্থদের কাছে তাই জন্মদিনের উপহার হিসাবে ট্রফিটাই চেয়েছেন শেফালি। ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেট দল এখনও পর্যন্ত কোনও পর্যায়ে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপ এবং কমনওয়েলথ গেমস খেলে ফেলা শেফালি চাইবেন যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেতে। ২০০৫, ২০০৭ এবং ২০২০ সালে ভারতের সিনিয়র দল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু জিততে পারেনি। এর মধ্যে দু’বার অস্ট্রেলিয়া এবং এক বার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে ছিল তারা।
শেফালি শুধু বিশ্বকাপ নয়, কমনওয়েলথ গেমসেও খেলেছিলেন। কিন্তু ফাইনালে জিততে পারেননি। এ বার সুযোগ হারাতে চান না ভারতের অধিনায়ক। শনিবার ১৯ বছরে পা রেখে তিনি বলেন, “অনেকগুলো ফাইনাল খেলেছি। মাঠে গিয়ে খেলাটা উপভোগ করাই আসল। আমি সতীর্থদের বলেছি ফাইনাল বলে বাড়তি চাপ না নিতে। মাঠে নিজেদের একশো শতাংশ দিতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ফাইনাল ম্যাচ ভেবে চাপ নিয়ে ফেললে হবে না।”
এ বারের বিশ্বকাপে সুপার সিক্স পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যায় ভারত। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮৭ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। শেফালি বলেন, “ওই ম্যাচের আগে আমরা খুব চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। ঘুম হয়নি আমাদের। খালি মনে হচ্ছিল ফাইনালে উঠতে পারব কি না। কিন্তু নিজেদের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। এখন আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। একে অপরের সঙ্গে মিশে গিয়েছি। খুব বেশি ভাবছি না আমরা ফাইনাল নিয়ে।”
বাবার স্বপ্নপূরণ করছেন শেফালি। তিনি বলেন, “বাবা আমাকে বলেছে যে, আমি সেরা এবং এক দিন আমি বিশ্বকাপ জিতব। বাবা আমাকে সব সময় উৎসাহ দিয়ে এসেছে। সেই কারণেই এখানে পৌঁছতে পেরেছি। বাবাকে ধন্যবাদ আমার পিছনে এত পরিশ্রম করার জন্য। পুরো পরিবারের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।”