গাড়ি দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ঋষভ পন্থকে। ছবি: টুইটার
দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন ঋষভ পন্থ। ভোর ৫.৩০ মিনিটে তাঁর গাড়িটির দুর্ঘটনা ঘটে। নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন পন্থ। সেই সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটিতে আগুনও লেগে গিয়েছিল। সেখান থেকে নিজেকে বাঁচান পন্থ। কী ভাবে?
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন যে, ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পর পন্থ বুঝতে পেরেছিলেন বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। নিজেকে বাঁচাতে তাই গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে নিজেকে বার করেন পন্থ। আগুন লেগে গিয়েছিল গাড়িটিতে। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায় গাড়িটিকে। পন্থ গাড়ির মধ্যে থাকলে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত। নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বলেই আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।
পন্থের মাথায় এবং পায়ে চোট লেগেছে। উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে বার হওয়ার সময় পিঠে চোট পান পন্থ। ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক সদ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলে দেশে ফিরেছিলেন। দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নিজের গাড়ি চালিয়ে। সেই সময় কুয়াশা ছিল। উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি অশোক কুমার বলেন, “ভোর ৫.৩০ মিনিটে ঋষভ পন্থের গাড়ি দুর্ঘটনাটি ঘটে। রুরকির মহম্মদপুর জটের কাছে ঘটে সেই দুর্ঘটনাটি। পন্থ পুলিশকে বলেন যে, গাড়ি চালানোর সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। প্রথমে রুরকির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে দেহরাদুনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।”
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, মাথায় এবং পায়ে চোট লেগেছে পন্থের। দুর্ঘটনা স্থলে গিয়েছেন পুলিশ কর্তা দেহাত স্বপ্ন কিশোর সিংহ। সক্ষম হাসপাতালের চিকিৎসক সুশীল নগর জানিয়েছেন যে, পন্থের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তাঁকে দেহরাদূনের হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় দলে তিনি ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফেরার পরেই নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের সিরিজে দলে অবশ্য তিনি নেই। কিছু দিনের মধ্যেই বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই তাঁর এনসিএ-তে যাওয়ার কথা ছিল।