দুর্ঘটনার পর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ঋষভ পন্থের গাড়িটি। ছবি: টুইটার।
দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডে নিজের বাড়িতে ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ঋষভ পন্থ। তাঁর গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পরেই তাঁর গাড়িতে আগুন লেগে যায়। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাস্তা অন্য দিক দিয়ে যাচ্ছিল এক গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে থাকা ব্যক্তি ঋষভের জ্বলন্ত গাড়ির ভিডিয়ো তুলেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে দাউদাউ করে জ্বলছে গাড়ি। কাছাকাছি পুলিশ বা দমকলের কোনও গাড়ি দেখা যায়নি। কার গাড়ি জ্বলছে, তিনি জানতেন না। তাঁর কথা থেকে তা বোঝা যাচ্ছে। তবে বুঝতে পারেন ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্যই গাড়িটি দাউদাউ করে জ্বলছে। তাঁর গাড়ির ঘড়িতে তখন সকাল ৫টা ২৭ মিনিট। তিনি যখন ভিডিয়ো করেছেন, তার আগে উইন্ডস্ত্রিন ভেঙে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আগুনে পন্থের গাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
দিল্লি-দেহরাদূন হাইওয়েতে রুরকির কাছে গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এর পরেই গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিক ভাবে পন্থকে হামাদপুর ঝালের কাছে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পন্থের মাথায় এবং পিঠে চোট লেগেছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। সক্ষম হাসপাতালের চিকিৎসক সুশীল নগর জানিয়েছেন যে, পন্থের অবস্থা স্থিতিশীল। প্রথমে রুরকির হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় পন্থকে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দেহরাদূনের একটি হাসপাতালে। তবে তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের পুলিশ জানিয়েছে যে, পন্থ গাড়িতে একাই ছিলেন। গাড়ি চালিয়ে দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক। সেই ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন তিনি। গাড়িতে আগুন লেগে যায়। পন্থের মাথা, পিঠ এবং পায়ে চোট লাগে। ডিজিপি অশোক কুমার বললেন, “ভোর ৫.৩০ মিনিটে দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
পন্থ পুলিশকে বলেন যে, গাড়ি চালানোর সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। উত্তরাখণ্ড সরকার পন্থের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছে।